শিক্ষার্থীদের নিয়ে কুইজ প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত
প্রথম আলো ট্রাস্ট পরিচালিত বাবুডাইং আলোর পাঠশালায় কিশোর আলো ক্লাবের শিক্ষার্থীদের নিয়ে বুধবার দুপুরে কুইজ প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়েছে। এতে পঞ্চম থেকে অষ্টম শ্রেণির শিক্ষার্থীরা অংশগ্রহণ করে।
বিদ্যালয়ের পঞ্চম থেকে দশম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের নিয়ে গঠন করা হয় কিশোর আলো ক্লাব। ক্লাবের সদস্যদের নিয়ে বুধবার প্রথমবারের মতো আয়োজন করা হয়েছিল কুইজ প্রতিযোগিতা। বিষয় ছিল কিশোর আলো থেকে মহাসাগর ও তিমি। শিক্ষার্থীদের নানা বিষয়ে সাধারণ জ্ঞান বৃদ্ধি করার জন্যই এই আয়োজন।
এ ক্লাবের সদস্য হওয়ার জন্য শিক্ষার্থীদের মাসিক ১০ টাকা করে চাঁদা দিতে হয়। এতে তাদের মধ্যে দায়িত্ববোধও সৃষ্টি হবে। প্রতি সপ্তাহে প্রথম আলো পত্রিকা, কিশোর আলো, বিজ্ঞান চিন্তা, চলতি ঘটনাসহ নানা বিষয়ে পড়াশোনা করে এই ক্লাবের শিক্ষার্থীরা। এরপর তাদের নিয়ে প্রতি সপ্তাহে একটি করে বিষয় আলোচনা করা হয়। পাশাপাশি তাদের সেই বিষয়টি নিয়ে দুই পৃষ্ঠার একটি তথ্যযুক্ত পাঠও দেওয়া হয়। শিক্ষার্থীরা সেগুলো বাড়িতে অবসর সময়ে পড়াশোনা করে। এভাবে দুই সপ্তাহে দুটি বিষয়ে আলোচনার পর অনুষ্ঠিত হয় কুইজ প্রতিযোগিতা। মাসে দুটি করে হবে এ প্রতিযোগিতা। মাস শেষে বিজয়ীদের পুরস্কার হিসেবে শিক্ষা উপকরণ বিতরণ করা হবে। আর আলোচনা ও প্রতিযোগিতার বিষয় নিয়ে প্রত্যেক শিক্ষক আলাদাভাবে দায়িত্ব পালন করে থাকেন। একটি প্রতিযোগিতায় মূলত দুজন করে শিক্ষক দায়িত্ব পালন করে থাকেন। এতে সকলেরই অংশগ্রহণ থাকবে।
ষষ্ঠ শ্রেণির শিক্ষার্থী সাকিবুল আলম জানায়, ‘কিশোর আলো ক্লাবের মাধ্যমে আমরা নিয়মিত প্রথম আলো পত্রিকা, কিশোর আলো, বিজ্ঞান চিন্তা, চলতি ঘটনাসহ নানা বিষয় নিয়ে পড়াশোনা করার সুযোগ পেয়ে থাকি। ক্লাসের অবসর সময়ে আমরা নিজেদের মধ্যে সে বিষয় নিয়ে একক প্রশ্ন-উত্তর করি। এভাবে কুইজ প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ সহজ হয়ে যায়। আমরাও বিভিন্ন বিষয়ে জ্ঞানার্জন করতে পারি।’
নবম শ্রেণি ছাত্রী মাহফুজা খাতুন জানায়, ‘এ প্রতিযোগিতার মাধ্যমে আমরা পড়ালেখার পাশাপাশি বিভিন্ন বিষয়ে পড়াশোনা করতে পারছি। এতে আমাদের বিভিন্ন বিষয়ে জ্ঞান লাভ হচ্ছে। প্রতিযোগিতায় পুরস্কার পেতে হবে, এমন মনোভাবের কারণে সকলেই জোর দিয়ে পড়ছি।’
উল্লেখ্য, প্রথম আলো ট্রাস্ট পরিচালনায় সামিট গ্রুপের সহযোগিতায় রাজশাহীর গোদাগাড়ী উপজেলার মোহনপুর ইউনিয়নের বাবুডাইং গ্রামে বাবুডাইং আলোর পাঠশালাটিতে প্রাক-প্রাথমিক থেকে দশম শ্রেণি পর্যন্ত ২৫১ জন শিক্ষার্থীকে বিনা মূল্যে পাঠদান করা হয়। এ বিদ্যালয় থেকে গত দুই বছরে ১৩ জন শিক্ষার্থী এসএসসি পাস করেছে।