বাবুডাইং আলোর পাঠশালায় ঐতিহাসিক ৭ মার্চ দিবস উদ্যাপন
ঐতিহাসিক ৭ মার্চ আজ। ১৯৭১ সালের ৭ মার্চ রেসকোর্স ময়দানে (বর্তমানে সোহরাওয়ার্দী উদ্যান) সমবেত জনসমুদ্রে জাতির উদ্দেশে ঐতিহাসিক ভাষণ দেন জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। তাঁর এই ভাষণ জাতিকে অনুপ্রাণিত করে স্বাধীনতার জন্য সশস্ত্র মুক্তিযুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়তে। ২০১৭ সালে ইউনেস্কো এই ঐতিহাসিক ভাষণকে বিশ্বের গুরুত্বপূর্ণ প্রামাণ্য ঐতিহ্য হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছে।
দিবসটি উপলক্ষ্যে রাজশাহীর গোদাগাড়ী উপজেলায় অবস্থিত বাবুডাইং আলোর পাঠশালায় আলোচনা সভা ও বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের ঐতিহাসিক ভাষণ বড় পর্দায় দেখানোর কর্মসূচি পালিত হয়েছে।
দুপুর পৌনে ১২টায় অ্যাসেম্বলি শেষে তৃতীয় থেকে দশম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের নিয়ে বিদ্যালয়ের মিলনায়তনে এ কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়। আলোচনা সভায় বক্তব্য দেন বিদ্যালয়ের সহকারী প্রধান শিক্ষক শংকর চন্দ্র দাস ও সিনিয়র শিক্ষক লুইশ মুর্মু। স্বাধীন বাংলাদেশের অভ্যুদয়ের ইতিহাস আলেচনা করেন বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আলী উজ্জামান নূর। আলেচনা সভায় অংশ নেয় দশম শ্রেণির শিক্ষার্থী সিমন সাইচুরি, অষ্টম শ্রেণির শিক্ষার্থী আঁখি খাতুন ও মৌমিতা হাঁসদা।
আলোচনা সভায় বক্তরা বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ৭ মার্চে সমবেত লাখো মানুষকে সামনে রেখে বলেছিলেন, ‘এবারের সংগ্রাম আমাদের মুক্তির সংগ্রাম, এবারের সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম।’ তিনি তাঁর ভাষণে সামরিক আইন প্রত্যাহার, জনগণের নির্বাচিত প্রতিনিধিদের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তর, গোলাগুলি ও হত্যা বন্ধ করে সেনাবাহিনীকে ব্যারাকে ফিরিয়ে নেয়া এবং বিভিন্ন স্থানের হত্যাকান্ডের তদন্তে বিচার বিভাগীয় কমিশন গঠনের দাবি জানান। এই ভাষণ মুক্তিযুদ্ধের জন্য গোটা জাতিকে ঐক্যবদ্ধ করেছিলো।
উল্লেখ্য, রাজশাহীর গোদাগাড়ী উপজেলা সদর থেকে প্রায় ২৫ কিলোমিটার দূরে, চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলার সীমানা ঘেঁষে বাবুডাইং আলোর পাঠশালার অবস্থান। সামিট গ্রুপ ও আঞ্জুমান-আজিজ চ্যারিটেবল ট্রাস্টের সহযোগিতায় বাবুডাইং আলোর পাঠশালাসহ দেশব্যাপি ৭টি স্কুল পরিচালনা করছে প্রথম আলো ট্রাস্ট।