ডাক্তার হতে চায় লিরা ত্রিপুরা

কচ্ছপতলী আলোর পাঠশালার ষষ্ঠ শ্রেণির শিক্ষার্থী লিরা ত্রিপুরা।

লিরা ত্রিপুরা কচ্ছপতলী আলোর পাঠশালার ষষ্ঠ শ্রেণির একজন শিক্ষার্থী। সে নিয়মিত ক্লাসে ভাল ফলাফল করে আসছে। সে স্কুলের নিয়মিত ছাত্রী এবং পড়াশোনায় বেশ মনোযোগী। পরিবারে বাবা-মা এবং তিন ভাইবোন নিয়ে তাদের পরিবার। তিন ভাইবোনের মধ্যে লিরা ত্রিপুরা সবার ছোট । তার বাবা একজন কৃষক। তার নিজের তেমন কোন জমি-জমা নেই। নিজের জমির কাজের পাশাপাশি অন্যের জমিতে দিনমজুরের কাজ করেন বাবা। তার মা একজন গৃহিণী। পরিবারের সবারই ইচ্ছা লিরা লেখাপড়া শিখে ডাক্তার হবে। ডাক্তার হয়ে সে যেন সকল শ্রেণির মানুষের সেবা দিতে পারে।

তুমি কি হতে চাও? ক্লাসে শিক্ষকের এমন প্রশ্নের জবাবে হাসিখুশি ও সহজ সরল মেয়েটির উত্তর— ‘আমি ডাক্তার হতে চাই। ডাক্তার হয়ে দুর্গম ও পাহাড়ি অঞ্চলে অবহেলিত ও বঞ্চিত  গরীব দু:খীদের মাঝে সুচিকিৎসা ও সেবা দিয়ে তাদের পাশে থাকতে চাই’।

গ্রামের কাছেই আলোর পাঠশালা স্কুল আছে বলে অস্বচ্ছল পরিবারের এই মেয়েটির পড়াশোনা চালিয়ে যাওয়া সম্ভব হয়েছে। লিরা কচ্ছপতলী আলোর পাঠশালা সম্পর্কে বলে, ‘কচ্ছপতলী আলোর পাঠশালায় লেখাপড়া ভালো হয়। কোন প্রাইভেট পড়ার প্রয়োজন হয় না। শিক্ষকেরা আমাকে অনেক সাহায্য সহযোগিতা করেন’। লিরা ত্রিপুরা পড়াশোনার পাশাপাশি স্কুলের অন্যান্য সহকার্যক্রমেও স্বতঃস্ফূর্তভাবে অংশগ্রহণ করে। মেয়েটির পিতামাতা দুজনেই পাঠশালার শিক্ষকদের প্রতি ও প্রথম আলোর প্রতি ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে বলেন, ‘এলাকায় এমন স্কুল আছে বিধায় আমাদের মতো অস্বচ্ছল পরিবারের ছেলেমেয়েরা বিনা বেতনে ও শিক্ষকদের সঠিক দিকনির্দেশনায় পড়াশোনা করতে পারছে। শহরে নিয়ে গিয়ে বাসা ভাড়া নিয়ে পড়ানো আমাদের দ্বারা সম্ভব নয়’।