গুড়িহিরী-কামদেবপুর আলোর পাঠশালায় অনুষ্ঠিত হলো অভিভাবক সমাবেশ
বিদ্যালয়ে শিক্ষার মান উন্নয়নের লক্ষ্যে বছরে ৩ বার অভিভাবক সমাবেশ করা হয়। গতকাল ১২ নভেম্বর ৩য় অভিভাবক সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। সমাবেশের স্লোগান ছিল ‘শিক্ষক অভিভাবকের সম্মিলিত শক্তি-শিক্ষায় বয়ে আনবে সমৃদ্ধ ও মুক্তি’। সমাবেশে উপস্থিত ছিলেন বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক রাজিত দাস, ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি মো. আব্দুল আজিজ, সহসভাপতি হারাধন খালকোসহ কমিটির অন্যান্য সদস্যবৃন্দ, বিদ্যালয়ের সকল শিক্ষক কর্মচারী ও অভিভাবকবৃন্দ।
সমাবেশে আলোচনার বিষয় ছিল শিক্ষার্থীদের নিয়মিত বিদ্যালয়ে আসা, পোশাক পরিচ্ছদ পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা, বিদ্যালয়ে পাঠ শেষ করে বাড়িতে গিয়ে শিক্ষার্থীরা কিভাবে তাদের সময়গুলো কাটায়, তারা যাতে মোবাইলে আসক্ত না হয়ে পড়ে সে বিষয়ে অভিভাবকদের আরও সচেতন হতে বলা হয়।
প্রথম আলো ট্রাস্ট পরিচালিত গুড়িহারী-কামদেবপুর আলোর পাঠশালায় শিক্ষার্থীদের যেসব সুযোগ-সুবিধা প্রদান করে সেসব বিষয় নিয়েও আলোচনা করা হয়। এ বিদ্যালয় লেখাপড়া করতে কোন টাকা পয়সা লাগে না। বিদ্যালয় থেকে যাতায়াতের সুবিধার জন্য শিক্ষার্থীরা সাইকেল পেয়েছিল। অদম্য মেধাবী শিক্ষার্থীদের জন্য রয়েছে বিশেষ বৃত্তি ব্যবস্থা।
বিদ্যালয়ের সঙ্গে শিক্ষার্থীর অভিভাবকদের সম্পর্ক যেন হয় একই পরিবারের সদস্যদের মতো। তারা যেন নিয়মিত বিদ্যালয়ের সঙ্গে যোগাযোগ রাখেন। তাঁরা তাদের মূল্যবান মতামত ও পরামর্শ দিয়ে শিক্ষার্থীদের শিক্ষার মান উন্নয়ন নিশ্চিত করেন। প্রত্যেক শিক্ষকের বক্তব্যের সারবস্তু এই ছিল।
অভিভাবকদের সঙ্গে মত বিনিময়কালে নবম শ্রেণির মোসা. মুশফিকা খাতুনের বাবা মো. আল-মামুন হক সেন্টু বলেন, ‘গুড়িহারী-কামদেবপুর আলোর পাঠশালা অনেক ভালো মানের একটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। এই স্কুলে লেখাপড়া বেশ ভালো হয়। আমার মেয়েকে এই স্কুলে ভর্তি করে অনেক সুবিধা হয়েছে। এভাবেই এগিয়ে যাক আলো ট্রাস্ট পরিচালিত গুড়িহারী-কামদেবপুর আলোর পাঠশালা।’
প্রধান শিক্ষক রাজিত দাস শিক্ষার্থী উপস্থিতি, শিক্ষকদের পাশাপাশি অভিভাবকদের ভূমিকা, মোবাইল ফোনের আসক্তি, স্বাস্থ্যসম্মত হাইজিন, বার্ষিক পরীক্ষা ও নতুন শিক্ষার্থী ভর্তি বিষয়ে বিশদ আলোচনা করেন। তিনি অভিভাবকদের তাঁর সন্তানকে নিয়মিত বিদ্যালয়ে পাঠাতে অনুরোধ করে।
ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি মো. আব্দুল আজিজ তাঁর সমাপনী বক্তব্যে বলেন, ‘শিক্ষার মান উন্নয়নের জন্য শিক্ষক ও অভিভাবকদের যোগাযোগ থাকতে হবে। শিক্ষক ও শিক্ষার্থীর অভিভাবকদের যোগাযোগ থাকলে শিক্ষার্থীর শিক্ষার মান দ্রুত উন্নয়ন নিশ্চিত হবে।’