প্রথম আলো ট্রাস্ট পরিচালিত দমদমিয়া আলোর পাঠশালায় যথাযোগ্য মর্যাদা ও উৎসবমুখর পরিবেশে মহান বিজয় দিবস পালিত হয়েছে। দিনব্যাপী আয়োজিত হয় বিভিন্ন কর্মসূচি। দিনের শুরুতেই শিক্ষার্থীরা লাল-সবুজের পোশাক পরে বিদ্যালয়ে উপস্থিত হয়। সকাল ৯টায় জাতীয় সংগীতের সঙ্গে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করা হয়। এরপর মুক্তিযুদ্ধে শহিদদের আত্মার শান্তি কামনায় এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়। স্কাউট দলের কুচকাওয়াজ এবং আমন্ত্রিত অতিথিদের সম্মান প্রদর্শনের মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠানের সূচনা হয়।
শিক্ষার্থীদের স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণে শুরু হয় বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতা। এর মধ্যে ছিল বেলুন ফাটানো, চকলেট দৌড়, মোমবাতি দৌড়, দীর্ঘ লম্ফ, কুইজ দৌড় এবং মিউজিক চেয়ারের মতো আকর্ষণীয় ইভেন্ট। শিক্ষার্থীদের পাশাপাশি পুরুষ অভিভাবক, মহিলা অভিভাবক এবং প্রাক্তন শিক্ষার্থীদের জন্যও মিউজিক বল, হাঁড়ি ভাঙা ও পিলো পাসের মতো মজার খেলার আয়োজন করা হয়। বেলা ১২টায় শুরু হয় ইনডোর প্রতিযোগিতা। এই পর্বে ' আমাদের মুক্তিযুদ্ধ ' শীর্ষক চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতা, ' বিজয় দিবস ও স্বাধীন বাংলাদেশের অভ্যুদয় ' শীর্ষক রচনা প্রতিযোগিতা এবং মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক সাধারণ জ্ঞানের কুইজ প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়।
মধ্যাহ্ন বিরতির পর আলোচনা সভা ও পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠান শুরু হয়। অনুষ্ঠানে ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি নুরুল কবির, প্রধান শিক্ষক শ্রী রাজেশ কুমার কানু, জমিদাতা সৈয়দুল আমিন, দাতা সদস্য মোঃ ইউনুস, স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তি, অভিভাবক এবং সহকারী শিক্ষকবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। প্রধান শিক্ষক শ্রী রাজেশ কুমার কানু তার শুভেচ্ছা বক্তব্যে মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস এবং স্বাধীনতা রক্ষায় শিক্ষার্থীদের দায়িত্ব নিয়ে আলোচনা করেন। আলোচনা সভা শেষে সকল বিজয়ী শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের হাতে পুরস্কার তুলে দেওয়া হয়। একই সাথে সকল অংশগ্রহণকারী শিক্ষার্থীকে সান্ত্বনা পুরস্কার প্রদান করা হয়। প্রধান শিক্ষকের সমাপনী বক্তব্যের মাধ্যমে বিকেল ৩টায় অনুষ্ঠানের সমাপ্তি ঘোষণা করা হয়।
দমদমিয়া আলোর পাঠশালা ছাড়াও প্রথম আলো ট্রাষ্ট পরিচালিত আরও ৭টি স্কুলে উদযাপন করা হয়েছে মহান বিজয় দিবস ও বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতা। বাবুডাইং আলোর পাঠশালা, গুড়িহাড়ী- কামদেবপুর আলোর পাঠশালা, রাজশাহী আলোর পাঠশালা, প্রথম আলো চর আলোর পাঠশালা, কচ্ছপতলী আলোর পাথশালা, মদনপুর আলোর পাঠশালা ও মেঘনাপাড় ধীবর আলোর পাঠশালায় শিক্ষার্থীদের স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণে শুরু হয় বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতা। তার আগে প্রতিটি স্কুলের জাতীয় সংগীতের সাঙ্গে পতাকা উত্তোলনের মাধ্যমে শুরু হয় মহান বিজয় দিবসের আনুষ্ঠানিকতা। সকল স্কুলেই আমাদের মুক্তিযুদ্ধের বীর শহীদদের বিদেহী আত্নার প্রতি সম্মান জানানো হয়।