রাজশাহী আলোর পাঠশালার ষষ্ঠ শ্রেণির শিক্ষার্থী মেহেদী হাসান। বাবা-মা ও চার ভাইবোন নিয়ে মেহেদীর পরিবার। মেহেদির বাবা অন্যের দোকানে কাজ করেন। মেহেদীর বড় ভাই স্থানীয় একটি কলেজে পড়াশোনা করেন। অভাব, প্রতিকূলতা থাকলেও স্কুলে নিয়মিত মেহেদী। শ্রেণিকক্ষে তার সরব উপস্থিতি শিক্ষার্থীদের সব সময় মাতিয়ে রাখে। মেহেদি শুধু তার সহপাঠীদের কাছেই পছন্দের নয়, শিক্ষকদের কাছেও পছন্দের ছাত্র সে।
অভাবে সংসার মেহেদীদের। তার বাবাই পরিবারের একমাত্র উপার্জনক্ষম ব্যক্তি। দুঃখ দুর্দশা আর অভাব অনটনের মধ্যে দিয়ে চলতে হয় তাদের। কিন্তু স্বপ্ন দেখা কি দুঃখ দুর্দশা, অভাব অনটন মানে! মানে না।
মেহেদী স্বপ্ন দেখে ভালো করে পড়াশোনা করে সরকারি চাকরি করবে। বড় হয়ে পুলিশের একজন অফিসার হওয়ার স্বপ্ন তার।
মেহেদীর কাছে জানতে চাওয়া হয়েছিল, তুমি পুলিশ হতে চাও কেন? এর উত্তরে মেহেদী জানায়, ‘স্যার সবাই পুলিশকে খারাপ বলে। কিন্তু ভালো পুলিশও আছে। আমি একজন ভালো ও মানবিক পুলিশ হতে চাই। ভালো পুলিশ হয়ে ভালো কাজ করতে চাই। আমাদের মতো গরিব লোকজন যারা নির্যাতনের শিকার হয়, তাদের পাশে দাঁড়াতে চাই।
এমন তরুণ স্বপ্নবাজ সোনামণিদের পাশে আলো হয়ে আছে প্রথম আলো ট্রাস্ট পরিচালিত আলোর পাঠশালা। বাংলাদেশের প্রত্যন্ত এলাকায় যেখানে শিক্ষার আলো পৌঁছায়নি, এ রকম অবহেলিত ৮টি এলাকায় ৮টি আলোর পাঠশালা পরিচালনা করছে প্রথম আলো ট্রাস্ট। এ সব স্কুলে মোট ১ হাজার ৬০০ জন শিক্ষার্থী বিনা মূল্যে পড়াশোনা করছে।