রাজশাহী আলোর পাঠশালায় নবীনবরণ ও বিদায় সংবর্ধনা অনুষ্ঠিত

রাজশাহী আলোর পাঠশালায় মাধ্যমিক স্কুল সার্টিফিকেট (এসএসসি) পরীক্ষার্থীদের বিদায় সংবর্ধনা ও নতুন বছরে ভর্তি হওয়া নবীন শিক্ষার্থীদের বরণ করে নেওয়া হয়েছে।

রাজশাহী আলোর পাঠশালায় মাধ্যমিক স্কুল সার্টিফিকেট (এসএসসি) পরীক্ষার্থীদের বিদায় সংবর্ধনা অনুষ্ঠিত হয়েছে। এ ছাড়া নতুন বছরে ভর্তি হওয়া নবীন শিক্ষার্থীদের বরণ করা হয়েছে। গত বৃহস্পতিবার দিনব্যাপী রাজশাহী নগরের তালাইমারী শহীদ মিনারের পাশে পদ্মা নদীর ধারে এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।

বিদায় ও নবীনবরণ অনুষ্ঠানের শুরুতে বিদ্যালয়ে ষষ্ঠ শ্রেণিতে ভর্তি হওয়া ২৬ শিক্ষার্থীকে বরণ করে নেওয়া হয়। তাদের রজনীগন্ধা ফুলের স্টিক দিয়ে বরণ করে নেয় বিদ্যালয়ের সপ্তম শ্রেণির শিক্ষার্থীরা। পরে এসএসসি বিদায়ী শিক্ষার্থীদের ফুল দিয়ে সংবর্ধনা জানায় বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণির শিক্ষার্থীরা। তাদের হাতে তুলে দেওয়া হয় শিক্ষা সরঞ্জাম। এ সময় বিদায়ী শিক্ষার্থীরা তাদের অনুভূতি ব্যক্ত করে।

পুরস্কার হাতে রাজশাহী আলোর পাঠশালার বিদায়ী শিক্ষার্থীরা।

এ ছাড়া বিদ্যালয়ের ছয় শিক্ষার্থীকে পুরস্কৃত করা হয়েঠে। তারা সারা বছরে একদিনের জন্যও বিদ্যালয়ে অনুপস্থিত হয়নি। তাদের ছয়জনকে বিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে একটি করে ব্যাগ ও তাদের ছবি ও বিদ্যালয়ের লোগো সংবলিত পানি পানের মগ উপহার দেওয়া হয়। মোট ছয়জন শিক্ষার্থী এ পুরস্কার পায়। তারা হচ্ছে ষষ্ঠ শ্রেণির হাফিজা ও সুমাইয়া, সপ্তম শ্রেণির শ্রাবণি আক্তার বর্ণা, অষ্টম শ্রেণির আশা আহামেদ আশমা, নবম শ্রেণির আঞ্জেলী আক্তার জীম এবং আইরিন আক্তার।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক রেজিনা খাতুন, সহকারী প্রধান শিক্ষক রহমত আলী, সহকারী শিক্ষক নাসরিন খাতুন, হাসান ইমাম, সারফরাদ, খাদিজাতুল কুবরা, প্রথম আলোর নিজস্ব প্রতিবেদক আবুল কালাম মুহম্মদ আজাদ, প্রতিনিধি শফিকুল ইসলাম, কবি, নারী উদ্যোক্তা পরিনা, বিদ্যালয়ের প্রাক্তন শিক্ষার্থী ও নাটোর সরকারি মহিলা কলেজের বাংলা বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী সখিনা খাতুনসহ অভিভাবকেরা।

রাজশাহী আলোর পাঠশালায় মাধ্যমিক স্কুল সার্টিফিকেট (এসএসসি) পরীক্ষার্থীদের বিদায় সংবর্ধনা ও নতুন বছরে ভর্তি হওয়া নবীন শিক্ষার্থীদের বরণ করে নেওয়া হয়েছে।

কবি ও নারী উদ্যোক্তা পরিনা বিদায়ী শিক্ষার্থীদের শুভকামনা জানিয়ে বলেন, ‘ধনী হওয়া সহজ। কিন্তু ভালো মানুষ হওয়া সহজ নয়। ভালো মানুষ হতে হবে। এই বিদ্যালয় সেই ভালো মানুষ হওয়ার পথ দেখিয়ে দিচ্ছে।’

প্রধান শিক্ষক রেজিনা খাতুন বলেন, ‘আজকে শুধু বিদায় সংবর্ধনা ও নবীনবরণই ছিল না। শিক্ষার্থীদের বিদ্যালয়মুখী করার জন্য গত দুই বছর ধরে শতভাগ উপস্থিতির পুরস্কৃত করা হচ্ছে। প্রতি মাসেও এই মূল্যায়ন করা হয়।’ শেষে বিদ্যালয়ের সকল শিক্ষার্থীদের দুপুরের খাবার পরিবেশন করা হয়।