‘স্কুল যে কত মজার তা বুঝতে পারছি’

বিদ্যালয় খুলে দেওয়ায় আবার স্কুলমুখী হচ্ছে আলোর পাঠশালার শিক্ষার্থীরা।

‘স্কুল বন্ধ থাকায় আমাদের লেখাপড়া বন্ধ হয়ে গিয়েছিল। এখন স্কুল খোলাতে আবার আমরা নতুন করে লেখাপড়া করার সুযোগ পেয়েছি। আমি মহা খুশি স্কুল খোলার জন্য।’ কথাগুলো বলছিলেন গুড়িহারী-কামদেবপুর আলোর পাঠশালার অষ্টম শ্রেণির শিক্ষার্থী ফারজানা খাতুন।

একই স্কুলের অষ্টম শ্রেণির আরেক শিক্ষার্থী মর্জিনা মারডি বলছিলেন , ‘আমি ফুটবল খেলতে খুব ভালোবাসি। স্কুলে আমাদের প্রধান শিক্ষক খুব যত্নের সঙ্গে আমাদের ফুটবল প্র্যাকটিস করাতেন। স্কুল বন্ধ থাকার কারণে আমরা সেটা থেকে বঞ্চিত হয়েছিলাম। করোনার কারণে স্কুল বন্ধ থাকায় সেই সময়টাকে অনেক মিস করেছি। স্কুল খোলার পর এখন বুঝতে পারছি যে স্কুল কত মজার জায়গা।'

করোনা পরিস্থিতির কারণে দীর্ঘদিন বিদ্যালয় বন্ধ ছিল। গ্রামের অভিভাবকেরা খুব বেশি সচেতন না হওয়ার কারণে সন্তানদের প্রতি খেয়াল রাখেন নি। অনেকেই সংসারের অভাবের কারণে বাবার সঙ্গে দিন মজুরির কাজে যোগ দেয়। কেউ বা আবার কাজ নেয় হোটেল বা কাপড়ের দোকানে। তবে বিদ্যালয় খুলে দেওয়ায় আবার স্কুলমুখী হচ্ছে।

বাংলাদেশের প্রত্যন্ত এলাকায় যেখানে বহুদিন শিক্ষার আলো পৌঁছায়নি এ রকম অবহেলিত কয়েকটি এলাকায় শিক্ষার আলো পৌঁছে দিচ্ছে প্রথম আলো ট্রাস্ট। সামিট গ্রুপের আর্থিক সহায়তায় প্রথম আলো ট্রাস্ট গুড়িহারী-কামদেবপুর আলোর পাঠশালাসহ ৬টি স্কুল পরিচালনা করছে।