সামাজিক কর্মকাণ্ডে আলোর পাঠশালার স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণ

আলোর পাঠশালার পক্ষ থেকে ড্রাম কিনে চারকোনা করে বেঁধে ওপরে বাঁশের ছাউনি দিয়ে তৈরি করা হয়েছে ভেলা। ভেলায় চড়ে রশি টেনে টেনে পারাপার হয় লোকজন।

প্রথম আলো চর আলোর পাঠশালার শিক্ষক, শিক্ষার্থীরা পড়াশোনার পাশাপাশি বিভিন্ন সামাজিক কর্মকাণ্ডেও অংশগ্রহণ করে আসছে। যার মধ্যে অন্যতম হচ্ছে বর্ষা মৌসুমে সাঁকো বা ভেলা তৈরি করে দেওয়া। প্রথম আলো চরের ঠিক মাঝ দিয়ে অর্থাৎ আলোর পাঠশালা সংলগ্ন পশ্চিম দিক দিয়ে বেয়ে গেছে একটি বিল। গ্রীষ্ম মৌসুমে তেমন কোন সমস্যা না হলেও বর্ষা মৌসুমে বিলটি পানিতে ভরে যাওয়ায় চরম দুর্ভোগে পরতে হয় এলাকাবাসীসহ স্কুলগামী শিক্ষক, শিক্ষার্থীদেরকে। কেননা বিলটি পারাপারের জন্য নেই কোন নির্দিষ্ট নৌকা বা অন্য কোন ব্যবস্থা। আশপাশের বেশ কয়েকটি চরের লোকজনও এই দিক দিয়ে চলাচল করে থাকে। এই অবস্থায় আলোর পাঠশালার শিক্ষকগণ বিল পারাপারের জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহনের উদ্যোগ নেন। এলাকার মুরুব্বিদের সঙ্গে পরামর্শক্রমে ড্রামের ভেলা তৈরির সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।

বাঁশের সাঁকো তৈরি করে মানুষজনের পারাপারের ব্যবস্থা করে দেওয়া হয়েছে।

প্রথম আলো চর আলোর পাঠশালার প্রধান শিক্ষক মো. আতাউর রহমান বলেন, ‘আলোর পাঠশালার পক্ষ থেকে ড্রাম কিনে চারকোনা করে বেঁধে ওপরে বাঁশের ছাউনি দিয়ে তৈরি করা হয় ভেলা। আর এ কাজে স্বতঃস্ফূর্তভাবে অংশগ্রহণ করে আলোর পাঠশালার একদল স্বেচ্ছাসেবী শিক্ষার্থী। এরপর বিলের দু'পাশে দুটি গাছের সঙ্গে রশি বেঁধে দেওয়া হয়। ভেলায় চড়ে এই রশি টেনে টেনে পারাপার হয় লোকজন। ২০১৬ সাল থেকে আলোর পাঠশালার শিক্ষকগণ এই বিলের ওপর কখনো ভেলা কখনো বাঁশের সাঁকো তৈরি করে মানুষজনের পারাপারের ব্যবস্থা করে দিয়ে আসছে। এ ছাড়া আলোর পাঠশালার স্বেচ্ছাসেবী দল রাস্তাঘাটের ছোট খাটো সংস্কারকাজ ও অন্যান্য সেবামূলক কাজে নিয়মিত অংশগ্রহণ করে থাকে। যা এলাকায় ব্যাপক প্রশংসিত হয়েছে।’

অত্র স্কুলের সভাপতি আব্দুস সোবহান বলেন, ‘শিক্ষকদের এমন উদ্যোগে এলাকাবাসী অত্যন্ত খুশি। শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের এমন কার্যক্রম দেখে এলাকাবাসী ও বিভিন্ন স্বেচ্ছাসেবীরা সমাজ উন্নয়নমূলক কাজে অনুপ্রাণিত হবে।’

বাংলাদেশের প্রত্যন্ত এলাকায় যেখানে বহুদিন শিক্ষার আলো পৌঁছায়নি এ রকম অবহেলিত কয়েকটি এলাকায় শিক্ষার আলো পৌঁছে দিচ্ছে প্রথম আলো ট্রাস্ট। সামিট গ্রুপের আর্থিক সহায়তায় প্রথম আলো ট্রাস্ট প্রথম আলো চর পাঠশালাসহ ৬টি স্কুল পরিচালনা করছে।