বিনা খরচে পড়াতে পেরে অভিভাবকেরা খুশি
রাজশাহীর রিকশাচালক ফরিদ হোসেন সিদ্ধান্ত নিলেন মেয়েকে আর পড়াবেন না। এই খবর জানতে পেরে রাজশাহী আলোর পাঠশালা থেকে কয়েকজন শিক্ষক তার বাড়িতে হাজির হলেন। তারা অভয় দিলেন, আলোর পাঠশালায় পড়তে কোন টাকা লাগে না। পড়াশোনায় কোনো খরচ লাগে না শুনে তিনি মেয়েকে স্কুলে পাঠাতে রাজি হন।
সপ্তম শ্রেণির শিক্ষার্থী ফারহানার বাবা মো. ফরিদ হোসেন বলেন, ‘তার মেয়ের লেখাপড়ার দায়িত্ব আলোর পাঠশালা নেওয়াতে তিনি স্বস্তি পেয়েছেন। এমন অভাবের সংসারে আলোর পাঠশালা না থাকলে হয়তো মেয়েকে লেখাপড়া করাতে পারতাম না।’
অষ্টম শ্রেণির দিপা খাতুনের বাবা আকবার আলী বলেন, ’তার মেয়ে ৮ম শ্রেণিতে পড়ে। করোনায় সংসার চালাতে অনেক কষ্ট। আলোর পাঠশালা বিনা বেতনে অধ্যয়ন করাবে শুনে তিনি স্কুলের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।’
রাজশাহী আলোর পাঠশালা প্রধান শিক্ষক রেজিনা খাতুন বলেন, ’আলোর পাঠশালা থাকতে এলাকার একটি শিশুও শিক্ষা থেকে বঞ্চিত হবে না। সমাজে আলো ছড়াবে আলোর পাঠশালা।’