বাল্যবিবাহ থামাতে পারেনি বুশরার লেখাপড়া

অদম্য বুশরা এ বছর প্রথম আলো ট্রাস্ট পরিচালিত রাজশাহী আলোর পাঠশালা থেকে এসএসসি পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করেছেন।
ছবি: প্রথম আলো।

ছোটবেলা থেকেই বুশরার শখ বড় হয়ে একজন শিক্ষক হবেন। প্রাথমিক শিক্ষা সমাপ্ত করে মাধ্যমিকে ভর্তি হওয়ার পর থেকেই সকল ক্লাসে বুশরার অবস্থান প্রথম। ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক প্রতিযোগিতাতেও প্রথম পুরস্কারটা তাঁরই হাতে যায়। জেএসসিতে ভালো ফল করার পরও তাঁর পরিবার তাঁকে লেখাপড়া করাতে চায়নি। কারণ পরিবারের ধারণা ১৪ বছর পার হয়ে যাচ্ছে, পরে আর বিয়ে হবে না।

প্রায় শতভাগ বাল্যবিবাহের গ্রামে বুশরারও মুক্তি মেলেনি। নবম শ্রেণিতে উঠতেই বিয়ের পিঁড়িতে বসতে হয় তাঁকে। অনিচ্ছা থাকলেও পরিবারের চাপে তাঁকে এ সিদ্ধান্ত মানতে হয়। কিন্তু বুশরার প্রবল ইচ্ছা শক্তি তাঁকে দমিয়ে রাখতে পারেনি। তাঁর শখ শিক্ষক হতেই হবে। নানা রকম বাধা বিপত্তি অতিক্রম করে বুশরা এ বছর প্রথম আলো ট্রাস্ট পরিচালিত রাজশাহী আলোর পাঠশালা থেকে এসএসসি পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করেছেন।

বুশরা বলেন, সংসারের অভাব অনটনের মধ্যে তাঁর লেখাপড়া চালানো পরিবারের পক্ষে সম্ভব ছিলো না। প্রথম আলো ট্রাস্ট তাঁকে বিনা বেতনে পড়ার সুযোগ করে দিয়েছে এবং তার ইচ্ছা শক্তি তাঁকে সামনে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছে। এর জন্য প্রথম আলো ট্রাস্ট আলোর পাঠশালার প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন।

আলোর পাঠশালার শিক্ষক খাদিজাতুল কুবরা মম জানান, ‘বুশরা এবার অনেক ভালো ফলাফল করবে। পরিবার থেকে লেখাপড়ার ভালো সুযোগ পেলে সে অবশ্যই তাঁর শখ পূরণ হবে।’

লেখক: রিপন মাহমুদ,সহকারী প্রধান শিক্ষক, রাজশাহী আলোর পাঠশালা।