‘পরীক্ষার মাধ্যমেই ফলাফল অর্জন করতে চাই’
স্কুল বন্ধ থাকায় আমরা ভালোভাবে পড়াশোনা করতে পারিনি। ক্লাস করতে পারিনি। এটা আমাদের জন্য খুবই কষ্টদায়ক ও ক্ষতির কারণ। বাড়িতে তেমন পড়াশোনা করতে মন বসে না। ভালো লাগেনা। স্কুলে নিয়মিত ক্লাস হলে রুটিন অনুযায়ী পড়ালেখা করতে ভালো লাগে। পড়াতে মন বসে। স্কুল বন্ধ থাকায় পড়াশোনা হয়নি, সব ভুলে গেছি। আবার বিদ্যালয়ে যে দিবসগুলো পালন করা হয়, সেগুলো উদ্যাপন করতে পারিনি। বাড়িতে খুব একঘেয়েমি লাগত। স্কুল খুলে আমাদের অনেক ভালো লাগছে। এখন থেকে আবার ভালো করে পড়াশোনা করতে পারব। ওপরের কথাগুলো বলছিলেন গুড়িহারী-কামদেবপুর আলোর পাঠশালার দশম শ্রেণির শিক্ষার্থী সুমিতা রানী।
১২ই সেপ্টেম্বর ২০২১ থেকে বিদ্যালয়ে ক্লাস কার্যক্রম শুরু হয়। গুড়িহারী-কামদেবপুর আলোর পাঠশালার প্রধান শিক্ষক মো. নূর আলম বলেন, বিদ্যালয় খোলাতে শিক্ষার্থীদের মাঝে আনন্দের সীমা নাই। বিদ্যালয় প্রাঙ্গণ শিক্ষার্থীদের উপস্থিতিতে মুখরিত হয়েছে। শিক্ষার্থীদের পড়ালেখার প্রতি আগ্রহটাও বেশ বেড়েছে। তবে দীর্ঘদিন বিদ্যালয় বন্ধ থাকার কারণে বেশির ভাগই শিক্ষার্থীরা পড়ালেখায় পিছিয়ে পড়েছে। সরকারি নির্দেশ মত আমরা বিদ্যালয়ের কার্যক্রম পালন করছি। আশাকরি সময়ের সঙ্গে সঙ্গে আমরা সবকিছু গুছিয়ে নিতে পারব।
দশম শ্রেণির শিক্ষার্থী জীবন আলী বলেন, স্কুল খোলার পর আমাকে অনেক ভালো লাগছে। অনেক দিন পর বন্ধুদের সঙ্গে কথাবার্তা, চলাফেরা করে আমার খুব আনন্দ লাগছে। আবার পড়ালেখার প্রতিও মনোযোগ বাড়ছে।
আলোর পাঠশালার দশম শ্রেণির আরেকজন শিক্ষার্থী শুভ দাস বলে, আমি ২০২২ সালে এসএসসি পরীক্ষা দিব। কিন্তু আমাদের আগের ব্যাচের পরীক্ষার্থীদের এখনো পরীক্ষা শেষ হয়নি। আমাদের কখন পরীক্ষা হবে বুঝতে পারছি না। দীর্ঘ দিন স্কুল বন্ধ থাকার কারণে ভালো পড়াশোনা করতে পারিনি। এসএসসি পরীক্ষার জন্য যথেষ্ট সময় না পেলে ভালো ফলাফল করা খুব কঠিন হবে। আবার অ্যাসাইনমেন্ট লেখতেও ভালো লাগে না। আর আমি অটোপাসও চাই না। পরীক্ষার মাধ্যমেই ফলাফল অর্জন করতে চাই।
বাংলাদেশের প্রত্যন্ত এলাকায় যেখানে বহুদিন শিক্ষার আলো পৌঁছায়নি এ রকম অবহেলিত কয়েকটি এলাকায় শিক্ষার আলো পৌঁছে দিচ্ছে প্রথম আলো ট্রাস্ট। সামিট গ্রুপের আর্থিক সহায়তায় প্রথম আলো ট্রাস্ট গুড়িহারী-কামদেবপুর আলোর পাঠশালা পাঠশালাসহ ৬টি স্কুল পরিচালনা করছে।