আদর্শ শিক্ষক হতে চান সুমনা

গুড়িহারী-কামদেবপুর আলোর পাঠশালার অষ্টম শ্রেণির শিক্ষার্থী মোসা. সুমনা খাতুন। তিনি পড়াশোনায় খুব ভালো । তিনি স্কুলের নিয়মিত ছাত্রী। সুমনাদের পরিবারের সদস্য সংখ্যা ৫ জন। তিনি পরিবারের বড় মেয়ে। তার বাবা একজন দিনমজুর। তিনি খুব কষ্ট করে পরিবারের ভরণ পোষণ ও ছেলেমেয়ের লেখাপড়ার খরচ চালান।

সুমনার বাবা মো. শাহানুর রহমান বলেন, "হামার বেটির মনত খুব ইচ্ছা, লেখাপড়া করে সে শিক্ষক হোবে। হামি জানি, এ জন্য হামার মেলা কষ্ট হবে। কিন্তু হামার যতই কষ্ট হোক, বেটির ইচ্ছা পূরণ করার জন্য হামি আপারান চেষ্টা করমু।"

গুড়িহারী-কামদেবপুর আলোর পাঠশালার প্রধান শিক্ষক মো. নূর আলম বলেন জানালেন গ্রামের কোথাও বাল্যবিয়ে হলে সুমনার কাছে খবর চলে আসে। খবর পাওয়া মাত্রই সুমনা তার দলবল নিয়ে সেই বিয়ে বাড়িতে উপস্থিত হয়। প্রথমে তাদের ভালো ভাবে বুঝায়। তাতেও কাজ না হলে বাধ্য হয়ে আইনের আশ্রয় নেয়। এভাবেই এই মহৎ কাজগুলো করে যাচ্ছে সুমনারা। সুমনার চেষ্টার ফলে এই স্কুলের কয়েক জন শিক্ষার্থীর বাল্যবিবাহ বন্ধ হয়েছে।

সুমনা বলেন, ''আমার পরিবারের কেউ এসএসসি পাস করতে পারেনি। আমার মত অনেক পরিবারের একই অবস্থা। আমি পড়াশোনা করে শিক্ষক হয়ে এই গ্রামের সবার মাঝে শিক্ষার আলো ছড়িয়ে দেওয়ার মত মহান কাজে অবদান রাখতে চাই।''

বাংলাদেশের প্রত্যন্ত এলাকায় যেখানে বহুদিন শিক্ষার আলো পৌঁছায়নি এ রকম অবহেলিত কয়েকটি এলাকায় শিক্ষার আলো পৌঁছে দিচ্ছে প্রথম আলো ট্রাস্ট। সামিট গ্রুপের আর্থিক সহায়তায় প্রথম আলো ট্রাস্ট গুড়িহারী-কামদেবপুর আলোর পাঠশালাসহ ৬টি স্কুল পরিচালনা করছে।