‘পুলিশ প্রশাসন অ্যাসিড–সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে আরও কঠোর হলে সুফল মিলবে’

মনিকা হালদার।

অ্যাসিড–সন্ত্রাস একসময় দেশের আলোচিত একটি সমস্যা ছিল। সামাজিক সংগঠন, গণমাধ্যম ও সরকারের উদ্যোগে সেই সমস্যা অনেকটা কমে আসে। তবে সম্প্রতি অ্যাসিড–সন্ত্রাস আবার বেড়েছে। এ নিয়ে সচেতনতা সৃষ্টিতে আগের মতো প্রচার–প্রচারণা নেই। সরকারি পর্যায়ে সেভাবে তদারকিও হয় না। রাজধানীর কারওয়ান বাজারে প্রথম আলো কার্যালয়ে গত ১৯ আগস্ট ২০২৩ ‘অ্যাসিডবিরোধী সংলাপ: অ্যাসিড–সন্ত্রাস নির্মূলে করণীয়’ শীর্ষক সংলাপে এসব কথা উঠে এসেছে। প্রথম আলো ট্রাস্টের উদ্যোগে এ সংলাপের আয়োজন করা হয়।

অ্যাসিডবিরোধী সংলাপে অংশ নিয়ে ব্র্যাক ব্যাংক কর্মকর্তা মনিকা হালদার (প্রথম আলো ট্রাস্টের অ্যাসিডদগ্ধ সহায়ক তহবিল থেকে সহায়তাপ্রাপ্ত) বলেন, ২০০১ সালে আমি অ্যাসিড–সন্ত্রাসের শিকার হই। সে সময় গ্রামের মানুষ বুঝতেই পারেনি আমার কী হয়েছে। এখন মানুষ জানে, কেউ অ্যাসিডে দগ্ধ হলে প্রচুর পানি ঢালতে হবে, কিন্তু আমার ক্ষেত্রে উল্টোটা হয়েছে। পুড়ে গেছে, জ্বলছে, এ জন্য আমার দগ্ধ জায়গায় নারকেল তেল দেওয়া হয়েছিল। সেই অভিজ্ঞতা ছিল ভয়াবহ। প্রথম আলোর সাহায্য–সহযোগিতায় আমি এ পর্যন্ত আসতে পেরেছি। আমি যখন এসএসসি পরীক্ষা দিচ্ছিলাম, তখন অ্যাসিডে দগ্ধ হই। সে সময় থেকে পড়ালেখার খরচ চালিয়েছে প্রথম আলো। আমার সঙ্গে আমার মা অ্যাসিডদগ্ধ হন। তাঁর চিকিৎসার খরচও প্রথম আলো বহন করেছে। আমি মনে করি, পুলিশ প্রশাসন অ্যাসিড–সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে আরও কঠোর হলে সুফল মিলবে।