‘যাঁরা অ্যাসিড–সন্ত্রাসের শিকার হয়েছেন তাঁদের মনের ক্ষত কখনো লাঘব হয় না’

আইন ও সালিশ কেন্দ্রের সিনিয়র স্টাফ ল’ইয়ার সেলিনা আক্তার।

অ্যাসিড–সন্ত্রাস একসময় দেশের আলোচিত একটি সমস্যা ছিল। সামাজিক সংগঠন, গণমাধ্যম ও সরকারের উদ্যোগে সেই সমস্যা অনেকটা কমে আসে। তবে সম্প্রতি অ্যাসিড–সন্ত্রাস আবার বেড়েছে। এ নিয়ে সচেতনতা সৃষ্টিতে আগের মতো প্রচার–প্রচারণা নেই। সরকারি পর্যায়ে সেভাবে তদারকিও হয় না। রাজধানীর কারওয়ান বাজারে প্রথম আলো কার্যালয়ে ১৯ আগস্ট ২০২৩ ‘অ্যাসিডবিরোধী সংলাপ: অ্যাসিড–সন্ত্রাস নির্মূলে করণীয়’ শীর্ষক সংলাপে এসব কথা উঠে এসেছে। প্রথম আলো ট্রাস্টের উদ্যোগে এ সংলাপের আয়োজন করা হয়।

অ্যাসিডবিরোধী সংলাপে অংশ নিয়ে আইন ও সালিশ কেন্দ্রের সিনিয়র স্টাফ ল’ইয়ার সেলিনা আক্তার বলেন, যাঁরা অ্যাসিড–সন্ত্রাসের শিকার হয়েছেন, তাঁরা যদি সঠিক বিচার পান; তবু তাঁদের মনের ক্ষত কখনো লাঘব হয় না। তারপরও আমরা দেখছি, আইনের ফাঁকফোকর দিয়ে এ পর্যন্ত ১ হাজার ৯৫০ জন আসামি খালাস পেয়েছেন। আমি ১৯৯৯ সাল থেকে আইন ও সালিশ কেন্দ্রে কাজ করছি। সেই সময় অ্যাসিড সারভাইভারস ফাউন্ডেশন, ব্র্যাক, প্রথম আলো আমরা একটা ভয়াবহ পরিস্থিতিতে কাজ করেছি। প্রতিদিনই অ্যাসিড–সন্ত্রাসের ঘটনা ঘটত। পরবর্তী সময়ে ২০০২ সালে অ্যাসিড নিয়ন্ত্রণ আইন ও অ্যাসিড অপরাধ দমন আইন নামে দুটি আইন পাস হয়। আইন পাসের ফলে সে সময় কিন্তু অ্যাসিড–সন্ত্রাস কমে আসে। কিন্তু প্রতিবেদন থেকে আমরা জানলাম, এখন আবার অ্যাসিড–সন্ত্রাস বাড়ছে। আমি মনে করি, অ্যাসিড নিয়ন্ত্রণ আইনে কেন্দ্র থেকে উপজেলা পর্যায় পর্যন্ত অনেকগুলো কমিটি গঠনের কথা বলা হয়েছে। অ্যাসিড–সন্ত্রাস নিয়ন্ত্রণে কমিটিগুলো সচল করতে হবে। পাশাপাশি অ্যাসিড–সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে শহর থেকে গ্রাম পর্যন্ত প্রচার–প্রচারণা বাড়াতে হবে। আইন প্রয়োগে কঠোর হতে হবে। অ্যাসিড ভিকটিমদের নিয়ে জাতীয় পরিসরে নিয়মিত কাউন্সিল হওয়া প্রয়োজন বলে আমি মনে করি।