‘বন্ধুরা আমাকে চলাফেরা করতে সহায়তা করে’

অ্যাসিডদগ্ধ নারীদের জন্য প্রথম আলো ট্রাস্ট সহায়ক তহবিল থেকে শিক্ষাবৃত্তিপ্রাপ্ত মাসুদা আক্তার। অ্যাসিডদগ্ধ হওয়ার আগের ছবি।

অ্যাসিডদগ্ধ নারীদের জন্য প্রথম আলো ট্রাস্ট সহায়ক তহবিল থেকে শিক্ষাবৃত্তিপ্রাপ্ত মাসুদা আক্তার চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে সমাজবিজ্ঞান বিভাগে তৃতীয় বর্ষে পড়াশোনা করছেন। এখন তৃতীয় বর্ষের ফাইনাল পরীক্ষা চলছে। মাসুদা জানালেন ‘ প্রথম বর্ষ ও দ্বিতীয় বর্ষের ফলাফল ভালো আছে। চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের শামসুননাহার হলে থাকি। আমার বন্ধুরা আমাকে চলাফেরায় সহায়তা করে। যদি একা কখনও বের হই সাদা ছড়ি নিয়ে বাইরে বের হই। শিক্ষাবৃত্তির টাকা পড়াশোনার কাজে ব্যয় করছি।’

অ্যাসিডদগ্ধ নারীদের জন্য প্রথম আলো ট্রাস্ট সহায়ক তহবিলের সহযোগিতায় ২০১৫ সালের মার্চ থেকে তাঁকে শিক্ষাবৃত্তি ও একটি টেপরেকর্ডার দেওয়া হয় তাঁকে। এখনও পাচ্ছেন তিনি এই শিক্ষাবৃত্তি।

উল্লেখ্য ২০১২ সালের ১৩ আগস্ট মাসুদা আক্তার তখন সমাজকল্যাণ বিদ্যাবীথি স্কুল ও কলেজে যখন নবম শ্রেণিতে পড়তেন। রংপুর শহরের বাবু খাঁ এলাকায় মাসুদার বাড়ি। প্রতিবেশী আরিফ নামে বখাটে এক যুবক মাসুদার বিয়ের বয়স না হতেই তাঁকে বিয়ের প্রস্তাব দেয়। বিয়েতে রাজি না হওয়ায় অ্যাসিড ছুড়ে মারে আরিফ। অ্যাসিড ছোড়ার ফলে মাসুদার মুখ, পিঠ, হাতসহ শরীরের অনেক স্থান ঝলসে যায়। এরপর দীর্ঘদিন তার চিকিৎসা চলে। পড়াশোনা বন্ধ হয়ে যায়। একপর্যায়ে দুই চোখেরই দৃষ্টিশক্তি হারান তিনি। দীর্ঘ সময় চিকিৎসা চলার পর একসময় সুস্থ হয়ে ওঠে মাসুদা। কিন্তু চোখ দুটো আর ভালো হয়নি।