অ্যাসিডবিরোধী সংলাপ
‘বর্তমানে অ্যাসিড একটি অস্ত্র হিসেবে ব্যবহৃত হচ্ছে’
অ্যাসিড–সন্ত্রাস একসময় দেশের আলোচিত একটি সমস্যা ছিল। সামাজিক সংগঠন, গণমাধ্যম ও সরকারের উদ্যোগে সেই সমস্যা অনেকটা কমে আসে। তবে সম্প্রতি অ্যাসিড–সন্ত্রাস আবার বেড়েছে। এ নিয়ে সচেতনতা সৃষ্টিতে আগের মতো প্রচার–প্রচারণা নেই। সরকারি পর্যায়ে সেভাবে তদারকিও হয় না। রাজধানীর কারওয়ান বাজারে প্রথম আলো কার্যালয়ে ১৯ আগস্ট ২০২৩ ‘অ্যাসিডবিরোধী সংলাপ: অ্যাসিড–সন্ত্রাস নির্মূলে করণীয়’ শীর্ষক সংলাপে এসব কথা উঠে এসেছে। প্রথম আলো ট্রাস্টের উদ্যোগে এ সংলাপের আয়োজন করা হয়।
অ্যাসিডবিরোধী সংলাপে অংশ নিয়ে বাংলাদেশ পুলিশের ডিআইজি (প্রোটেকশন) আমেনা বেগম বলেন, এই আয়োজনের জন্য প্রথম আলো ট্রাস্টকে ধন্যবাদ। আজকের সংলাপে আলোচিত হয়েছে অ্যাসিডে ১ হাজার ১৯৪টি মামলার মধ্যে ১৪টিতে মৃত্যুদণ্ডের রায় দেওয়া হয়েছে, কিন্তু কার্যকর হয়নি। আমি অনেক সময় দেখেছি, আসামিপক্ষের উকিল নিজেই চান না নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে সাক্ষ্য নেওয়া হোক। আইনজীবীদের প্রতি শ্রদ্ধা রেখে বলছি, অনেক আইনজীবী চান, মামলা দীর্ঘ সময় ধরে চলুক। অ্যাসিড মামলার দীর্ঘসূত্রতার এটি একটি কারণ বলে আমি মনে করি। এখান থেকে আমরা সিদ্ধান্ত নিতে পারি, প্রথম আলো অ্যাসিডের কিছু মামলা ফলোআপ করতে পারে। কারণ অনুসন্ধান করতে পারে অ্যাসিডের মামলাগুলো কেন গতি পাচ্ছে না। আরেকটি বিষয়ে আলোকপাত করতে চাই, আমার এক সহকর্মী অনলাইনে এক লিটার অ্যাসিড অর্ডার করেছেন, তাঁর বাসায় কিন্তু অ্যাসিড দিয়ে গেছে। অ্যাসিড অনলাইনে বিক্রি—এ বিষয়ে আমরা স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে প্রতিবেদন দিয়েছি। এই যে পরিবর্তিত ডিজিটাল ওয়ার্ল্ড, এটি নিয়ন্ত্রণ করা খুব কঠিন। পুলিশের তথ্য অনুযায়ী, ২০২০ সালে অ্যাসিডের মামলা হয়েছে ১৬টি, ২০২১ সালে ১২টি, ২০২২ সালে অ্যাসিডের মামলা হয়েছে ১১টি আর ২০২৩ সালে জানুয়ারি থেকে জুন পর্যন্ত ৬টি মামলা হয়েছে। আরেকটি বিষয় আলোচিত হয়েছে, বর্তমানে নারী–পুরুষনির্বিশেষে অ্যাসিড–সন্ত্রাসের শিকার হচ্ছেন। বর্তমানে অ্যাসিড একটি অস্ত্র হিসেবে ব্যবহৃত হচ্ছে। বর্তমানে অ্যাসিড–সন্ত্রাসে ব্যাটারির অ্যাসিড ব্যবহৃত হচ্ছে।