‘সাক্ষী না আসার কারণে ন্যায়বিচার নিশ্চিত করা যাচ্ছে না’

ব্র্যাকের সামাজিক ক্ষমতায়ন ও আইনি সুরক্ষা কর্মসূচির প্রোগ্রাম ম্যানেজার জয়শ্রী সরকার প্রথম আলো ট্রাস্টের আয়োজনে অ্যাসিডবিরোধী সংলাপে অংশ নেন।

অ্যাসিড–সন্ত্রাস একসময় দেশের আলোচিত একটি সমস্যা ছিল। সামাজিক সংগঠন, গণমাধ্যম ও সরকারের উদ্যোগে সেই সমস্যা অনেকটা কমে আসে। তবে সম্প্রতি অ্যাসিড–সন্ত্রাস আবার বেড়েছে। এ নিয়ে সচেতনতা সৃষ্টিতে আগের মতো প্রচার–প্রচারণা নেই। সরকারি পর্যায়ে সেভাবে তদারকিও হয় না। রাজধানীর কারওয়ান বাজারে প্রথম আলো কার্যালয়ে গত ১৯ আগস্ট ২০২৩ ‘অ্যাসিডবিরোধী সংলাপ: অ্যাসিড–সন্ত্রাস নির্মূলে করণীয়’ শীর্ষক সংলাপে এসব কথা উঠে এসেছে। প্রথম আলো ট্রাস্টের উদ্যোগে এ সংলাপের আয়োজন করা হয়।

প্রথম আলো কার্যালয়ে অ্যাসিড–সন্ত্রাস নির্মূলে করণীয় শীর্ষক সংলাপ অনুষ্ঠিত হয়।

অ্যাসিডবিরোধী সংলাপে অংশ নিয়ে ব্র্যাকের সামাজিক ক্ষমতায়ন ও আইনি সুরক্ষা কর্মসূচির প্রোগ্রাম ম্যানেজার জয়শ্রী সরকার বলেন, আজ সকালে পাবনা থেকে আমাদের এক কর্মী ফোনে জানালেন, সাক্ষীর অভাবে গত সপ্তাহে একটি অ্যাসিড নিক্ষেপের মামলা নিষ্পত্তি হয়েছে। আদালতে সাক্ষী না আসায় আসামি জেল থেকে ছাড়া পেয়েছেন। ব্র্যাকের মাঠপর্যায়ের কর্মীরা বলছেন, অ্যাসিড–সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে মামলা হচ্ছে ঠিকই, কিন্তু সাক্ষীদের আদালতে আনা যাচ্ছে না। সাক্ষী না আসার কারণে ন্যায়বিচার নিশ্চিত করা যাচ্ছে না। সাক্ষী কেন আসছেন না, তিনি কি ভয় পাচ্ছেন? অর্থের লোভে পড়ে সাক্ষী দিচ্ছেন না? কিংবা সাক্ষীদের কেউ হুমকি দিচ্ছে, এ বিষয়গুলোতে আমাদের গুরুত্ব দিতে হবে।

আবার অ্যাসিড–সন্ত্রাস কমে যাচ্ছে, এ রকম একটি কথা প্রচলিত রয়েছে। কিন্তু এই কমে যাওয়া মানে কমে যাওয়া নয়। কমে যাচ্ছে বলে অ্যাসিড–সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে প্রচার–প্রচারণা আমরা কমিয়ে দিচ্ছি। বিপরীত দিকে অ্যাসিড–সন্ত্রাস বেড়ে যাচ্ছে। অ্যাসিড–সন্ত্রাসের শিকার প্রান্তিক মানুষেরা আইনের সুবিধাপ্রাপ্তিতে নানা ধরনের প্রতিবন্ধকতার মধ্যে পড়েন, এটিও আমাদের খেয়াল রাখতে হবে।