অ্যাসিড–সন্ত্রাস একসময় দেশের আলোচিত একটি সমস্যা ছিল। সামাজিক সংগঠন, গণমাধ্যম ও সরকারের উদ্যোগে সেই সমস্যা অনেকটা কমে আসে। তবে সম্প্রতি অ্যাসিড–সন্ত্রাস আবার বেড়েছে। এ নিয়ে সচেতনতা সৃষ্টিতে আগের মতো প্রচার–প্রচারণা নেই। সরকারি পর্যায়ে সেভাবে তদারকিও হয় না। রাজধানীর কারওয়ান বাজারে প্রথম আলো কার্যালয়ে ১৯ আগস্ট ২০২৩ ‘অ্যাসিডবিরোধী সংলাপ: অ্যাসিড–সন্ত্রাস নির্মূলে করণীয়’ শীর্ষক সংলাপে এসব কথা উঠে এসেছে। প্রথম আলো ট্রাস্টের উদ্যোগে এ সংলাপের আয়োজন করা হয়।
অ্যাসিডবিরোধী সংলাপে অংশ নিয়ে লেখক ও গবেষক গওহার নঈম ওয়ারা বলেন,বর্তমানে অ্যাসিড–সন্ত্রাসের যে পরিসংখ্যান আমরা দেখছি, তাতে কিছু পরিবর্তন লক্ষ করা যাচ্ছে। এখন আমরা দেখতে পাচ্ছি, নারীর পাশাপাশি পুরুষ এবং শিশুরাও অ্যাসিড–সন্ত্রাসের শিকার হচ্ছে। অ্যাসিড বর্তমানে একটি অস্ত্রে পরিণত হয়েছে। ব্যক্তিগত ও পারিবারিক বিরোধের জেরে নারী–পুরুষনির্বিশেষে অ্যাসিড নিক্ষেপের ঘটনা ঘটছে। এটি বর্তমানে অ্যাসিড–সন্ত্রাসের একটি ভয়ংকর দিক। এই সময়ে এসে দেখা যাচ্ছে, অ্যাসিড–সন্ত্রাসের পরিধি বেড়েছে। আলোচকেরা বললেন, অ্যাসিড–সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে মামলা হচ্ছে, কিন্তু সাক্ষীর অভাবে আসামিরা ছাড়া পাচ্ছেন। দেশব্যাপী সাক্ষীর অভাবে নিষ্পত্তি হওয়া মামলাগুলোর বর্তমান অবস্থা নিয়ে একটি বই প্রকাশিত হতে পারে। এতে সাক্ষী না আসার কারণ, মামলাগুলোর ত্রুটিবিচ্যুতি যাচাই করা যাবে। বই প্রকাশিত হলে পুলিশ প্রশাসনও এটি থেকে একটি দিশা পাবে বলে আমি মনে করি। দ্রুত বিচারের আওতায় অ্যাসিড–সন্ত্রাসের সব মামলা আনা যায় কি না, সেটিও আমরা ভাবতে পারি। এ কাজগুলো আমাদের দ্রুততার সঙ্গে করতে হবে।