অ্যাসিডদগ্ধ মাসুদা আক্তার পড়াশোনা চালিয়ে যাচ্ছেন

মাসুদা আক্তার। অ্যাসিডদগ্ধ হওয়ার আগের ছবি।

মাসুদা আক্তার রংপুর শহরের সেনপাড়ায় সমাজকল্যাণ বিদ্যাবীথি স্কুল ও কলেজে যখন নবম শ্রেণিতে পড়ত, তখন শহরের বাবু খা এলাকায় তারই বাড়ির আঙিনায় পাশের বাড়ির আরিফ নামে বখাটে এক যুবক অ্যাসিড ছুড়ে মারে। ঘটনাটি ২০১২ সালের ১৩ আগস্টের। এই যুবক মাসুদার বিয়ের বয়স না হতেই বিয়ের প্রস্তাব দেয়। এতে রাজি না হওয়ায় অ্যাসিড ছুড়ে মারে সে। অ্যাসিড ছোড়ার ফলে মাসুদার মুখ, পিঠ, হাতসহ শরীরের অনেক স্থান ঝলসে যায়। এরপর দীর্ঘদিন তার চিকিৎসা চলে। পড়াশোনা বন্ধ হয়ে যায়। একপর্যায়ে দুই চোখেরই দৃষ্টিশক্তি হারায় সে। দীর্ঘ সময় চিকিৎসা চলার পর একসময় সুস্থ হয়ে ওঠে মাসুদা। কিন্তু চোখ দুটো আর ভালো হয়নি।

অ্যাসিডদগ্ধ নারীদের জন্য প্রথম আলো ট্রাস্ট সহায়ক তহবিলের সহযোগিতায় ২০১৫ সালের মার্চ থেকে তাঁকে শিক্ষাবৃত্তি ও একটি টেপরেকর্ডার দেওয়া হয়। এখনো পাচ্ছেন তিনি এই শিক্ষাবৃত্তি। ম মাসুদা এখন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে নৃবিজ্ঞান বিভাগে তৃতীয় বর্ষে পড়াশোনা করছেন।

মাসুদা আক্তারের মা সুলেখা পারভিন বলেন, ‘মেয়ে একদিন উচ্চশিক্ষিত হয়ে পরিবার ও সমাজের জন্য কাজ করবে।’