রংপুরের মাহিগঞ্জ: কম্বল পেয়ে ২২৩ শীতার্তের মুখে হাসি
‘মুই বিধবা। ছাওয়াপোওয়া কায়ো (কেউ) মোর সাথে থাকে না। এই ঠান্ডাত কোনোটে একখান কম্বলও পাও নাই। আইজ তোমারগুলার দেওয়া কম্বল পানু। আইজ রাইতোত এই কম্বল গায়োত জড়ায়ে উসুম পামো।’
প্রথম আলো ট্রাস্টের পক্ষ থেকে দেওয়া কম্বল পেয়ে কাঁপা কাঁপা গলায় এসব কথা বললেন রংপুর নগরের মাহিগঞ্জ ফতেপুর এলাকার সত্তরোর্ধ্ব বৃদ্ধা রমণী রানী। আজ মঙ্গলবার বেলা ১১টায় রংপুর নগরের মাহিগঞ্জ এলাকায় ২২৩ শীতার্ত মানুষের মধ্যে কম্বল বিতরণ করেন বন্ধুসভার সদস্যরা। কম্বল পেয়ে রমণী রানীর মতো সবাই হাসিমুখে বাড়ি ফিরেছেন।
৭২ বছরের বৃদ্ধ আতিয়ার রহমান কম্বল পাওয়ার পর দুই হাত তুলে দোয়া করে বলেন, ‘এক বছর হইল অ্যাক্সিডেন্ট করি বাড়িত পড়ি আচু। মোর পাঁচটা বেটির (মেয়ে) সবার বিয়া হয়া গেইছে। এর আগোত একটাও কম্বল পাও নাই। এই শীতোত কত যে কষ্ট হইতোছে। এলাও কষ্ট হইতোছে। হামার মতো গরিবের ভরসা তোমরায়।’
রমিজা খাতুন (৬৮) বলেন, ‘মোর শরীর চলে না। পিড়াত ভর করি মানুষের বাড়ি বাড়ি ঘুরিয়া সাহায্য নিয়া চলোও। এই শীতোত এই কম্বলটা কত যে উপকার হইল তা মুই কেমন করি বোঝাও।’ একই ধরনের অভিব্যক্তি ব্যক্ত করেন বিপিণ বর্মণ (৭২), রিজিয়া খাতুনসহ (৬৮) আরও অনেকে।
কম্বল নেওয়ার পর প্রথম আলো ও বন্ধুসভার মঙ্গল কামনা করে লোকমান হোসেন (৬৭) বলেন, ‘এর আগোত এই এলাকাত কায়ো কম্বল দেয় নাই। এতগুলা মানুষ আইজ কম্বল পাইতোছে। মোক খুব খুশি লাগতোছে।’
কম্বল বিতরণের সময় উপস্থিত ছিলেন প্রথম আলো বন্ধুসভা রংপুরের উপদেষ্টা ফারহানা আনাম, রেহানা সুলতানা, বন্ধুসভার সদস্য সোহেলী চৌধুরী, রাবেয়া আক্তার, বৃষ্টি প্রামানিক, অপূর্ব কৃষ্ণ রায়সহ ২০ জন বন্ধু।
প্রথম আলো ট্রাস্টের মাধ্যমে শীতার্তদের পাশে দাঁড়াতে এগিয়ে আসতে পারেন আপনিও। সহায়তা পাঠানো যাবে ব্যাংকের মাধ্যমে। হিসাবের নাম: প্রথম আলো ট্রাস্ট/ ত্রাণ তহবিল, হিসাব নম্বর: ২০৭ ২০০ ১১১৯৪ ঢাকা ব্যাংক লিমিটেড, কারওয়ান বাজার শাখা, ঢাকা।