মাদকাসক্তির সঙ্গে মানসিক রোগের একটা সম্পর্ক আছে

ferdous

মাদকাসক্তি হলে এর জন্য রয়েছে বিজ্ঞানসম্মত চিকিৎসা ব্যবস্থা । মাদকাসক্তির সঙ্গে মানসিক রোগের একটা সম্পর্ক আছে। মাদকাসক্ত ব্যক্তির মানসিক অনেকগুলো রোগের লক্ষণ দেখা যেতে পারে। মাদকাসক্ত ব্যক্তি যদি মাদক ছাড়তে চায়, তাহলে চিকিৎসার আওতায় তাকে আনতে হবে এবং পরিবাবের সদস্যদের সহযোগিতা দরকার।

গত রোববার প্রথম আলো ট্রাস্টের মাদকবিরোধী পরামর্শ সভায় রাজধানীর শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজের সহযোগী অধ্যাপক ও সাইকিয়াট্রি বিভাগের বিভাগীয় প্রধান ডা. মো. জিল্লুর রহমান খান এ কথা বলেন। বিকেল সাড়ে চারটা থেকে আধা ঘণ্টা প্রথম আলোর ফেসবুক পেজে মাদকবিরোধী অনলাইন পরামর্শ সহায়তা সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভা সঞ্চালনা করেন প্রথম আলো ট্রাস্টের সমন্বয়কারী মাহবুবা সুলতানা। অনলাইনে মাদকবিরোধী পরামর্শ সহায়তা সভার এটি ছিল ১৭তম আয়োজন।

গাঁজা খেলে কী কী ক্ষতি হয় এর উত্তরে ডা. মো. জিল্লুর রহমান খান বলেন, গাঁজা সেবনের কারণে মানসিক ও শারীরিক সব ধরনের ক্ষতি হয়। সামাজিক দক্ষতা কমে যায়। দীর্ঘদিন গাঁজা খেলে এর ওপর নির্ভরশীলতা তৈরি হয়। দিন দিন গাঁজা খাওয়ার মাত্রা অনেক বেড়ে যায়। গাঁজা সেবনকারীরা ভীষণ আবেগপ্রবণ হয়। কখনো অতি আনন্দে আত্মহারা থাকে। আবার কখনো মনমরা থাকে। অনেক সময় কোনো কিছু মনে রাখাতে পারে না। অর্থহীন কথাবার্তা বলে। হাত-পা কাঁপতে থাকে। হাঁটাচলা করতে কষ্ট হয়। চোখ লাল হয়ে যায়। প্রথম দিকে খাওয়াদাওয়া বেশি করে। ধীরে ধীরে খাওয়ার রুচি একেবারে কমে যায়। রক্তচাপ কমে যায়। বুক ধড়ফড় করে। ধীরে ধীরে সবকিছু থেকে আনন্দ হারায়। নিজেকে সব সময় গুটিয়ে রাখে। ঘুমের নিয়ম বলে কিছু থাকে না। মানসম্মান ও ব্যক্তিত্ব নষ্ট হয়। হঠাৎ করে উত্তেজিত হয়। তখন অন্যকে আঘাত করে। অনেক সময় আত্মহত্যার চেষ্টাও করে। বিনা কারণে অন্যকে সন্দেহ করে। স্বাস্থ্য ভাঙতে ভাঙতে দুর্বল হয়ে পড়ে। হৃদ্‌রোগ, ফুসফুস, লিভার ও কিডনি ক্ষতিগ্রস্ত হয়।

তিনি আরও বলেন ,মাদকাসক্ত ব্যক্তি কমপক্ষে দুই বছর যদি মাদক গ্রহণ না করেন, তবে ধরে নেওয়া যায় তিনি মাদক মুক্ত হয়েছেন।