মাদকবিরোধী অনলাইন পরামর্শ সভা

মাদকবিরোধী পরামর্শ সহায়তা সভার ১৩তম আয়োজন।

জাতীয় মানসিক স্বাস্থ্য ইনস্টিটিউটের সহযোগী অধ্যাপক ফারজানা রহমান বলেছেন, মাদকাসক্তি সম্পূর্ণ নিরাময়যোগ্য। প্রথম আলো ট্রাস্টের মাদকবিরোধী পরামর্শ সভায় এ কথা বলেন তিনি। গত ১০ ফেব্রুয়ারি বুধবার বিকেল চারটা থেকে আধা ঘণ্টা প্রথম আলোর ফেসবুক পেজে মাদকবিরোধী অনলাইন পরামর্শ সহায়তা সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভা সঞ্চালনা করেন প্রথম আলো ট্রাস্টের সমন্বয়কারী মাহবুবা সুলতানা। অনলাইনে মাদকবিরোধী পরামর্শ সহায়তা সভার এটি ছিল ১৩তম আয়োজন।

সভায় ফারজানা রহমান বলেন, মাদক হলো এমন একটি দ্রব্য, যা গ্রহণ করলে উত্তেজনা তৈরি হয় অথবা শরীর ও মনে অবসাদ সৃষ্টি করে। স্বাভাবিক চিন্তা বাধাগ্রস্ত হয়, শরীর, মন ও মস্তিষ্কের অনাকাঙ্ক্ষিত পরিবর্তন ঘটে, নেশা তৈরি করে। মাদক গ্রহণ করলে সংক্রামক রোগ যেমন হেপাটাইটিস , এইডসের মতো ভয়াবহ রোগ হতে পারে। মাদকাসক্তির সঙ্গে মানসিক রোগের একটা সম্পর্ক আছে। মাদকাসক্ত ব্যক্তির মানসিক অনেকগুলো রোগের লক্ষণ দেখা যেতে পারে । সিজোফ্রেনিয়া , বিষণ্নতা, ডিপ্রেশন, বাইপোলার মুড ডিসঅর্ডার, আত্মহত্যা কিংবা যেকোনো সহিংসতায় জড়িয়ে পড়তে পারে। মাদক গ্রহণ করলে স্মার্ট হয় না, বরং মাদক গ্রহণে চোখ নষ্ট হতে পারে। ইয়াবা আসক্ত হলে কিডনি বিকল হতে পারে। সবচেয়ে আশঙ্কার কথা হলো নারীরাও মাদকাসক্ত হয়ে পড়ছেন। মাদক গ্রহণের ফলে নারীদের ফুসফুস, লিভার নষ্ট হতে পারে। নারীর বন্ধ্যত্ব কিংবা সন্তান জন্ম দানে ত্রুটি দেখা দিতে পারে। কৌতূহল, বাবা মায়ের মধ্যে বিরোধ, সংসারে অশান্তি , হতাশা, অবসাদ, খারাপ বন্ধুর পাল্লায় পড়ে বিশেষ করে তরুণেরা মাদকাসক্ত হয়ে পড়ছে।

মাদকাসক্তি সম্পূর্ণ নিরাময়যোগ্য। আসক্তির বিষয়টি গোপন করা যাবে না। সন্তান বা পরিবারের সদস্যের আচরণ সন্দেহজনক হলে দ্রুত মনোরোগ চিকিৎসকের কাছে নিয়ে আসতে হবে ও পূর্ণ চিকিৎসা করাতে হবে। আসক্ত ব্যক্তি অনাকাঙ্ক্ষিত আচরণ করতে পারে। মাদকাসক্ত ব্যক্তিরও মাদক ছাড়ার ইচ্ছা থাকতে হবে। কোভিডের কারণে অর্থনৈতিক সমস্যার কারণে হতাশা বাড়ছে। হতাশা থেকে সহিংসতার ঘটনা ঘটছে। রাগ নিয়ন্ত্রণ নিজেকেই করতে হবে। সমস্যা শনাক্ত করে সমাধান করতে হবে।