প্রিয়জন মাদক নিলে তা গোপন করবেন না

প্রথম আলো ট্রাস্ট আয়োজিত মাদকবিরোধী পরামর্শ সভায় (বাঁ থেকে) মো. জিল্লুর রহমান খান, ফারজানা রহমান, মেখলা সরকার, সিফাত ই সাইদ ও মো. জোবায়ের মিয়া l ছবি: প্রথম আলো
প্রথম আলো ট্রাস্ট আয়োজিত মাদকবিরোধী পরামর্শ সভায় (বাঁ থেকে) মো. জিল্লুর রহমান খান, ফারজানা রহমান, মেখলা সরকার, সিফাত ই সাইদ ও মো. জোবায়ের মিয়া l ছবি: প্রথম আলো
প্রথম আলো ট্রাস্ট মাদকবিরোধী আন্দোলন প্রতি মাসে মাদকবিরোধী পরামর্শ সহায়তার আয়োজন করে থাকে। দেশের বিশিষ্ট মনোরোগ চিকিৎসক ও কাউন্সিলররা ব্যক্তিগতভাবে সমস্যার ধরন অনুযায়ী পরামর্শ দিয়ে থাকেন। বিনা মূলে্য এই সেবা গ্রহণ করতে ০১৭১৬২৪২২১৫ নম্বরে কল করে নাম অন্তর্ভুক্ত করতে হয় অথবা অনুষ্ঠানে সরাসরি হাজির হওয়া যায়। পরামর্শ সহায়তা যঁারা নিতে আসেন, তঁাদের সামাজিক পরিচয় সম্পূর্ণ গোপন রাখা হয়। ৪ জানুয়ারি ২০১৭, রাজধানীর ধানমন্ডি ২৭ নম্বর সড়কে ডব্লিউভিএ মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত হয় ৭৮তম পর্ব। মাদকাসক্ত রোগী ও তাঁদের পরিবারের সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন। পরামর্শ সহায়তা অনুষ্ঠানের আলোচিত বিষয়গুলো তুলে ধরা হলো

প্রশ্ন: এই আলোচনা সভায় কি নিয়মিত আসতে হবে?

উত্তর: একজন মাদকাসক্ত ব্যক্তি মাদক গ্রহণ থেকে ম​ুক্তিলাভের পর যেকোনো সময় আবার মাদকাসক্ত হতে পারেন। কিন্তু আমাদের অভিজ্ঞতা হলো যঁারা এখানে নিয়মিত আসেন তঁারা মাদক গ্রহণ থেকে বিরত থাকেন। নিয়মিত এ ধরনের কর্মশালার সঙ্গে যুক্ত থাকলে মাদক গ্রহণের আশঙ্কা থাকে না। তাই এ ধরনের আলোচনা সভায় নিয়মিত আসা প্রয়োজন।

প্রশ্ন:  নয় বছর আগেই মাদক ছেড়ে দিয়েছি তবু কি পরামর্শ নিতে আসতে হবে?

উত্তর: দীর্ঘ নয় বছর আগে মাদক ছেড়ে দিয়েছেন। তারপরেও পরামর্শ নিতে আসতে হবে।  তিনি বলেন, ‘এ জন্য আসি যে কখনো যেন আর পা পিছলে না যাই। বিয়ের দুই বছর পর একটি মাদকাসক্ত নিরাময় কে​েন্দ্র ভর্তি হই। দীর্ঘ নয় বছর চিকিৎসা চালিয়ে এখন আমি সুস্থ। এখন আমাকে ওষুধ খেতে হয় না।’

প্রশ্ন: তিনবার নিরাময় কেন্দ্র থেকে চিকিৎসা নেওয়ার পরও আমার ছেলে আবার মাদকে আসক্ত হচ্ছে নিরাময় কে​েন্দ্র কি সঠিক চিকিৎসা হচ্ছে না?

উত্তর: মাদকের যে চিকিৎসা, সেটা দীর্ঘমেয়াদি চিকিত্সা। কেউ কেউ মনে করেন, কিছুদিন নিরাময় কেন্দ্রে থাকলেই মাদক নিরাময় হয়ে যায়। এটা ভুল ধারণা। এটা মনে রাখতে হবে, মাদকের চিকিৎসা দীর্ঘমেয়াদি। মাদকের চিকিৎসা ২০-২৫ শতাংশ নিরাময় কেন্দ্রে হয়। মূল চিকিৎসা শুরু হয় নিরাময় কেন্দ্র থেকে বাসায় ফিরে এলে। এই চিকিৎসা সাধারণত কাউন্সেলিংয়ের মাধ্যমে করা হয়। এ ক্ষেত্রে রোগী ও রোগীর পরিবারের অন্য সদস্যদেরও কাউন্সেলিং করা হয়।

প্রশ্ন: নিরাময় কেন্দ্র থেকে ফেরার পর পুনরায় আসক্তির আশঙ্কা বেশি কখন?

উত্তর: মাদকের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট উপাদন যেমন সময়, স্থান, টাকা, মাদকাসক্ত পুরোনো বন্ধু, ইত্যাদি। তাঁদের দেখলে মাদক গ্রহণের আগ্রহ বেড়ে যায়। অথবা যে জায়গা থেকে তঁারা মাদক নিতেন এবং যে জায়গায় বসে মাদক গ্রহণ করতেন এই বিষয়গুলো মাদক গ্রহণের বড় কারণ। সোজা কথায় ভালো থাকতে হলে মাদকের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট সবকিছু পরিহার করতে হবে।

প্রশ্ন: পুনরায় যাতে আসক্ত না হন, সে জন্য পরিবারের ভূমিকা কেমন হওয়া প্রয়োজন?

উত্তর: প্রথম দিকে আমরা বলে থাকি সব সময় রোগীর সঙ্গে কাউকে থাকতে হবে। রোগীকে একা থাকতে দেওয়া যাবে না। সে ক্ষেত্রে তিনি যদি বাইরেও যান, কেউ না কেউ তঁার সঙ্গে থাকতে হবে। তবে এটা সাময়িক। চিকিৎসক যে নির্দেশগুলো দেবেন, সেই নির্দেশগুলো অবশ্যই মেনে চলতে হবে। পরিবারকে তা নিশ্চিত করতে হবে যে নির্দেশগুলো সঠিকভাবে মানা হচ্ছে।

প্রশ্ন: মাদকমুক্ত থাকতে কী করা প্রয়োজন?

উত্তর: প্রথমত মোবাইল ফোন বন্ধ রাখতে হবে। মাদক নেওয়ার জন্য মোবাইল ফোন সবচেয়ে বেশি ব্যবহার করা হয়। চিকিৎসক না বলা পর্যন্ত হাতে কোনো টাকাপয়সা রাখা যাবে না। হাতে টাকা থাকলেই মাদক নিতে ইচ্ছে করবে। যেসব বন্ধু মাদক গ্রহণ করেন, তঁাদের পুরোপুরিভাবে এড়িয়ে চলতে হবে। যে স্থান থেকে তিনি মাদক নিতেন, সেই স্থানে বা তার আশপাশে যাওয়া যাবে না।

যে সময়টায় তিনি মাদক নিতেন, সেই সময়টা যেমন ধরুন দুপুরবেলা বা বিকেল বেলা মাদক নিতেন, ওই সময়ে কিন্তু তঁার একটা টান আসবে। চা হলো খুবই সাধারণ একটা ক্যাফেইন। এটা আমাদের চা–পানের  অভ্যাসটাকে বাড়ায়। যে সময়ে আমরা চা–পান করে থাকি। ওই সময়ে চা–পান না করলে কিন্তু খুব খারাপ লাগে। আমরা এক দিন–দুদিন চা–পান না করে থাকতে পারি না। সামান্য রকমের একটা ক্যাফেইন আমরা নিয়ন্ত্রণ করতে পারি না। সেখানে হেরোইন, ফেনসিডিল, ইয়াবা এগুলো কিন্তু ভয়ংকর রকমের টান সৃষ্টি করতে পারে।

প্রশ্ন: চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া কি মাদকমুক্ত হওয়া যায় না?

উত্তর: মাদকের চিকিৎসা একটা দীর্ঘমেয়াদি চিকিত্সা। অনেকেই মনে করেন, ইচ্ছা করলেই মাদক ছেড়ে দেওয়া সম্ভব। মাদকের চিকিৎসা তারও একটা বিজ্ঞানসম্মত পদ্ধতি রয়েছে। সেই চিকিৎসাপদ্ধতির আওতায় রোগীকে আসতে হবে। বিষয়টা এমন না যে ইচ্ছা করলেই আমি ছেড়ে দিতে পারি। তাই যিনি মাদক থেকে বেরিয়ে আসতে চাচ্ছেন, অবশ্যই তঁাকে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের পরামর্শ ও সহায়তায় মাদক ছাড়তে হবে।

প্রশ্ন: সন্তান মাদকাসক্ত কি না বুঝব কীভাবে?

উত্তর: তার আচরণে পরিবর্তন লক্ষ করা যায়। শান্ত ছেলেটি হয়তো হঠাৎ কেমন উগ্র হয়ে ওঠে। টাকাপয়সা না বলে নিয়ে নেয়। বাসা থেকে মূল্যবান জিনিসপত্র, গয়না ইত্যাদি নিয়ে যায়। ছাত্র হলে তার রেজাল্ট খারাপ হতে থাকে। এ ছাড়া পুরোনো বন্ধুবান্ধব থেকে দূরত্ব তৈরি হয়। যারা খেলাধুলা করত, তাদের সঙ্গে আগের মতো আর থাকে না। একই স্কুল-কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ে তার বন্ধুর লেভেলটা বোঝা যায় না​ যে সে কাদের সঙ্গে চলাফেরা করে। যারা মাদকাসক্ত তার বন্ধুরাও কিন্তু মাদকাসক্ত থাকবে। সে নিজেই হয়তো স্বীকার করবে। আমার ওই বন্ধু গঁাজা খায়। এটা কোনো ব্যাপার না। অন্যদিকে শারীরিক কোনো সমস্যা হতে পারে। যেমন অনেক রাত জেগে থাকা। চোখটা খুব লালচে থাকে। হঠাৎ করে অজ্ঞান হয়ে যাওয়া ইত্যাদি।

প্রশ্ন: কেউ মাদকাসক্ত কি ন​া, কীভাবে তা বোঝা যায়?

উত্তর: জাতীয় মানসিক স্বাস্থ্য ইনস্টিটিউট, সরকারি মেডিকেল কলেজ এবং বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের মনোরোগ বিভাগে যোগাযোগ করে পরামর্শ নেবেন।  কিছু পরীক্ষা–নিরীক্ষার মাধ্যমে নিশ্চিত হওয়া যায়, কেউ মাদকাসক্ত কি না। পরীক্ষাগুলো করতে খুব বেশি টাকা খরচ হয় না। মাদকাসক্ত ব্যক্তিদের যকৃত (লিভার) শুকিয়ে যেতে থাকে। শরীরের অন্য গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গগুলোতে পরিবর্তন লক্ষ করা যায়। তঁারা কম বয়সে স্ট্রোকের ঝুঁকিতে থাকেন। আমরা এই পরীক্ষাগুলো করি। এর পাশাপাশি ক্লিনিক্যাল কিছু পরীক্ষা করি, যা থেকে বোঝা যায় তিনি কোন মাদক গ্রহণ করেন। মূত্র পরীক্ষা করে দেখা। অনেক সময় ডোপ টেস্ট করে বোঝা যায় তিনি মাদক নিচ্ছেন কি না। হঠাৎ করে প্রস্তুতি ছাড়াই ডোপ টেস্ট করতে হবে।

প্রশ্ন: মাদকাসক্তি কি চিকিৎসায় নিরাময় হয়?

উত্তর: অনেকেই এখন সুস্থ হয়ে ভালো আছেন। নেশা থেকে সম্পূর্ণরূপে মুক্ত হওয়া যায়। এখন অনেক ভালো চিকিত্সাপদ্ধতি রয়েছে। চিকিত্সা নিয়েছেন তঁারা ভালো আছেন।

প্রশ্ন: চিকিত্সা চলার সময় সন্তান অন্য মাদকে আসক্ত হয়ে গেছে এর কারণ কী?

উত্তর: একজন ছাত্র গঁাজা, ইয়াবাসহ বিভিন্ন মাদকে আসক্ত হতে পারে। সে আরও নতুন ধরনের মাদকের প্রতি আসক্ত হয়ে পড়ছে।  তার চিকিত্সা ঠিকই হচ্ছে। কিন্তু তার মধ্যে মাদক ছাড়ার যতটুকু উত্সাহ বা আগ্রহ থাকার সেটা তৈরি হয়নি। তার মধ্যে মাদক ছাড়ার ইচ্ছা শক্তিটা ভালোভাবে জেগে ওঠেনি, যা কিনা মাদক ছাড়ার জন্য অন্যতম শর্ত। কারণ সে কিন্তু চিকিত্সা নিচ্ছে। মাদক নেওয়ায় তার মধ্যে কিছু স্থায়ী মানসিক পরিবর্তন দেখা দিয়েছে। সে সন্দেহ করে। আশপাশের মানুষ কিছু করলে কিংবা কিছু বললে সে মনে করে এগুলো তাকে উদ্দেশ করে করা হচ্ছে বা বলা হচ্ছে। এ ধরনের সমস্যার জন্য সে বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিচ্ছে। ওষুধও সেবন করছে। তার চিকিত্সা চলছে। অবশ্যই তাকে মাদক ছাড়ার ইচ্ছা শক্তি জাগ্রত করতে হবে। সেটা কাউন্সেলিং, ওষুধ ও পরিবারের সহায়তায় করা যেতে পারে।

প্রশ্ন: মাদকাসক্তি নিরাময় করতে কি অনেক অর্থের প্রয়োজন হয়?

উত্তর: সরকারি হাসপাতালগুলোতে বিনা মূল্যে চিকিত্সার ব্যবস্থা রয়েছে। সেখানে বিনা মূল্যে ওষুধও পাবেন।

প্রশ্ন: চিকিত্সার জন্য কি হাসপাতালে ভর্তি হওয়া জরুরি?

উত্তর: বাসায় থাকা অবস্থায় কিছুতেই যদি মাদক না ছাড়তে পারেন, তাহলে কিছুদিনের জন্য বাধ্যতামূলকভাবে হাসপাতালে ভর্তি থাকতে হবে।

প্রশ্ন: কোন হাসপাতালে এ রোগের চিকিত্সা হয়?

উত্তর: জাতীয় মানসিক স্বাস্থ্য ইনস্টিটিউট, সব সরকারি হাসপাতাল, কেন্দ্রীয় মাদকাসক্তি নিরাময় কেন্দ্র, তেজগাঁও এবং বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের মানসিক রোগ বিভাগে মাদকাসক্তির চিকিত্সা হয়।

প্রশ্ন: কোন কোন মাদকাসক্ত রোগীর হাসপাতালে ভর্তি হওয়া প্রয়োজন?

উত্তর: দীর্ঘদিন মাদক ছাড়তে পারছেন না, অনেক ধরনের মাদক গ্রহণ করেন এবং কাউন্সেলিংয়ের মধ্যে আছেন তারপরও ছাড়তে পারছেন না। সেই সঙ্গে যদি মানসিক অন্যান্য সমস্যা থাকে। এঁদের হাসপাতালে ভর্তি হয়ে শরীর থেকে মাদক বের করার যে প্রক্রিয়া, তা করা যেতে পারে। প্রথমে তাঁকে ওষুধ খেয়ে মানসিক সমস্যাটা দূর করতে হবে। তারপর কাউন্সেলিং কার্যকর হবে।

প্রশ্ন: ওষুধ খেতে চায় না কী করব?

উত্তর: ওষুধ খেতে না চাওয়া সমস্যাটা মাদকাসক্ত বা যেকোনো মানসিক রোগীদের ক্ষেত্রে প্রায় সবারই কমন ব্যাপার। অনিয়ম করলে তাকে বলতে হবে, বোঝাতে হবে। ওষুধ খেতে না চাইলে তাকে বোঝাতে হবে। ওষুধটা নিজের ভালোর জন্যই খাওয়া জরুরি। আমরা চিকিৎ​সকেরা বলে থাকি, পরিবারের সদস্যদেরও ভালো করে বুঝিয়ে বলতে হবে, ‘তুমি ওষুধ খেলে সুস্থ থাকবে। জ্বর বা অন্যান্য রোগ হলে যেমন তুমি ওষুধ খাও, তেমনি তোমাকে সুস্থ থাকতে হলে ওষুধ খেতে হবে।’

তিনটি পরামর্শ

গোপন করবেন না 

কারও সন্তান বা প্রিয়জন মাদক নিলে সেটা গোপন করা যা​েব না। মনে করতে হবে, অন্য রোগের মতো মাদকাস​িক্তও একটা রোগ। সবাই মিলে রোগীর পাশে দঁাড়াতে হবে।

ঘৃণা করবেন না 

কোনো অবস্থায় মাদকাসক্ত ব্যক্তিকে ঘৃণা করা যাবে না। সব সময় বন্ধুর মতো আচরণ করার চেষ্টা করতে হবে। ​মনে করতে হবে, সে একটা বিপদে পড়েছে। এ বিপদ থকে তাকে রক্ষা করা সবার দায়িত্ব।

ধৈর্য হারাবেন না

দ্রুত আরোগ্য লাভের সুযোগ নেই। দেশ–বিদেশে কোথাও দ্রুত কোনো চিকিত্সার পদ্ধতি নেই। সুস্থ হয়ে আবার সে মাদক নেবে না, এই নিশ্চয়তা কেউ দিতে পারবে না।

যাঁরা পরামর্শ দিয়েছেন

ডা. ফারজানা রহমান, সহকারী অধ্যাপক

জাতীয় মানসিক স্বাস্থ্য ইনস্টিটিউট, ঢাকা

ডা. মেখলাসরকার, সহকারী অধ্যাপক

জাতীয় মানসিক স্বাস্থ্য ইনস্টিটিউট, ঢাকা

ডা. মো. জিল্লুররহমানখান, সহকারী অধ্যাপক  জাতীয় মানসিক স্বাস্থ্য ইনস্টিটিউট, ঢাকা

ডা. সিফাতসাইদ, সহকারী অধ্যাপক

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়

ডা. মো. জোবায়েরমিয়া, সহকারী অধ্যাপক

শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ

সঞ্চালনা ও গ্রন্থণা: ফেরদৌস ফয়সাল

কর্মসূচি ব্যবস্থাপক, প্রথম আলো ট্রাস্ট

টেলিফোনে পরামর্শ সহায়তা 

প্রতি মাসে একজন মনোরোগ বিশেষজ্ঞ প্রথম আলো কার্যালয়ে বসে ৯১২১২২৩ নম্বরে টেলিফোনে পরামর্শ সহায়তা দেন। ২১ জানুয়ারি শনিবার ৩১তম আয়োজনে ২৬ জন মাদকাসক্ত ব্যক্তি ডা. সিফাত  সাইদের কাছ থেকে পরামর্শ নেন। 

পরবর্তী আয়োজন

তারিখ      : ৪ ফেব্রুয়ারি, শনিবার

সময়          :  বিকেল ৪টা

স্থান           : ডব্লিউভিএ মিলনায়তন, বাড়ি– ২০,সড়ক– ২৭ (পু​েরানো) ধানমন্ডি, ঢাকা

যোগাযোগ  :   ০১৭১৬২৪২২১৫