অ্যাসিডদগ্ধ রত্না মণ্ডলের সাফল্য
বেসরকারি সংস্থা ব্র্যাকের মানবাধিকার ও আইন সহায়তা কর্মসূচির মানিকগঞ্জ জেলার সিঙ্গাইর অফিসে নির্যাতনের শিকার মানুষের অভিযোগ শোনেন এবং সমাধানে সহায়তা দেন কর্মকর্তা রত্না মণ্ডল। ঝিনাইদহের এই রত্না মণ্ডল ১৯৯৯ সালে অষ্টম শ্রেণিতে পড়ার সময় অ্যাসিড–সন্ত্রাসের শিকার হন। সেই রত্না আস্তে আস্তে নিজেকে নির্মাণ করে আজকের অবস্থানে এসেছেন। অ্যাসিডদগ্ধ নারীদের জন্য প্রথম আলোসহায়ক তহবিলের পক্ষ থেকে রত্না মণ্ডলকে প্রথমে একটি দোকান করে দেওয়া হয়। এর আয় দিয়েই লেখাপড়া চালিয়ে যান তিনি। মাস্টার্সে পড়ার সময় আবার মাসিক বৃত্তি, বই কেনার জন্য আর্থিক সহায়তা পান প্রথম আলো সহায়ক তহবিল থেকে থেকে।
সম্প্রতি রত্না মণ্ডলের সঙ্গে এই প্রতিবেদকের যোগাযোগ হয় । কেমন আছেন খোঁজখবর নিতেই নিজের সফলতার কথা জানালেন। মানিকগঞ্জের সিঙ্গাইর ব্র্যাক মানবাধিকার ও আইন সহায়তা কর্মসূচির সহায়তায় করোনাকালে মোবাইলে কনফারেন্স কলের মাধ্যমে ভুক্তভোগী শামীমা আক্তারের দেনমোহরের পাঁচ লাখ টাকা আদায় করতে পেরেছেন। ঢাকা বিভাগের জোনাল ম্যানেজার বিপুল কুমার সিংহের সার্বিক দিকনির্দেশনায় মানুষের অধিকার নিয়ে কাজ করে যাচ্ছেন।
রত্না মণ্ডল জানান, সিঙ্গাইর উপজেলার শামীমা আক্তার ও মো. মোশারফ হোসেনের ২০১৬ সালের ২৮ এপ্রিল পাঁচ লাখ টাকা দেনমোহরে রেজিস্ট্রি কাবিন মূলে বিয়ে হয়। বিয়ের দুই বছর পর স্বামী বিদেশ চলে যান। বিদেশ যাওয়ার পর থেকেই শামীমার ওপর নানা ধরনের নির্যাতন শুরু হয়। আইনি সহায়তা পাওয়ার আশায় ২০২১ সালের ৬ এপ্রিল শামীমা তাঁর স্বামীর বিরুদ্ধে দেনমোহর ও ভরণপোষণ বিষয়ে ব্র্যাকের সিঙ্গাইর অফিসে একটি অভিযোগ দায়ের করেন, যার নিবন্ধন-৮৯৬, অভিযোগ নম্বর-১০/২১। উভয় পক্ষের সঙ্গে অনেক কথাবার্তার পর শামীমার স্বামীর কাছ থেকে দেনমোহর ও ভরণপোষণের টাকা আদায় করতে পেরেছেন। এ কাজে জেলা ব্যবস্থাপক মুসলিমা খাতুনও অনেক সহায়তা করেছেন।
জেলা ব্যবস্থাপক মুসলিমা খাতুন বলেন, রত্না মণ্ডল এই টাকা আদায়ে ধৈর্য ও বিচক্ষণতার পরিচয় দিয়েছেন।