মেঘ সরে সূর্যের হাসি ফুটেছে জীবনে

ব্র্যাক ব্যাংক - প্রথম আলো ট্রাস্ট অদম্য মেধাবী শিক্ষাবৃত্তি প্রাপ্ত মুক্তা খাতুন

গ্রামে সহজ সরল জীবন কাটাতেন। একেবারে অজ পাড়া-গায়ের ছেলেমেয়ে বলতে যা বোঝায়। আজকে তিনি ব্র্যাক ব্যাংক - প্রথম আলো ট্রাস্ট অদম্য মেধাবী শিক্ষাবৃত্তি পেয়ে পড়াশোনা শেষ করেছেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক হয়েছেন। কর্মজীবন শুরু করেছেন। পরিবার চালাতে মা-বাবাকে আর্থিক সহযোগিতা করছেন।

এতক্ষন বলা হচ্ছিল সিরাজগঞ্জের বেলকুচি এলাকায় ‍মুক্তা খাতুনের কথা। বাবা পেশায় একজন তাঁত শ্রমিক। তিনি শাড়ি, লুঙ্গি তৈরি করতেন । মা কুশি কাটার কাজ করতেন। মাকে সেলাই কাজে সহযোগিতা করতেন মুক্তা। তারা দুই ভাই এক বোন। ভাইবোনের মধ্যে মুক্তাই বড়। ৫ম ও ৮ম শ্রেণিতে বৃত্তি পেয়েছিলেন। মুক্তার মা মেয়েকে একটা কথা বলতেন, মা একমাত্র পড়াশোনা করলেই এই কষ্টের দিন আর থাকবে না । মায়ের কথা রেখেছেন মুক্তা। গত বছর বাংলাদেশ আর্মি ইউনিভার্সিটি অব সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজিতে চুক্তিভিত্তিক প্রভাষক পদে যোগ দেন।‍ মুক্তা খাতুন বললেন, ২০১১ সালে গাড়ামাসী-জিধুরী জেএস বালিকা উচ্চবিদ্যালয় থেকে বাণিজ্য বিভাগে জিপিএ-৫ পাই। ব্র্যাক ব্যাংক - প্রথম আলো ট্রাস্ট অদম্য মেধাবী সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে জীবনে প্রথমবারের মতো মায়ের সঙ্গে ঢাকায় আসি। অনুষ্ঠানে উপস্থিত হয়ে মা বলেছিল, মেয়ের কারণে আজকে এত নামীদামি মানুষের দেখা পেলাম, আমাদের পাড়ায় কোন গ্র্যাজুয়েট নেই । মেয়েকে তাই পড়াশোনা চালিয়ে যাওয়ার পরামর্শ দেন তিনি।

মুক্তা খাতুন আরও বলেন, ‘ব্র্যাক ব্যাংক - প্রথম আলো ট্রাস্ট অদম্য মেধাবী বৃত্তি পেয়ে ২০১৩ সালে এইচএসসিতে জিপিএ-৫ পাই। রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় থেকে হিসাববিজ্ঞানে বিবিএ ও একই বিষয়ে স্নাতকোত্তরে ভালো ফলাফল করি। প্রথম আলোর শিক্ষাবৃত্তি আমার জীবনটাকে সহজ করে দিয়েছে । আমার মতো অদম্য মেধাবীদের আমিও সহযোগিতা করতে চাই।’