মাদকবিরোধী অনলাইন পরামর্শ সভা

মাদককে না বলো।

মাদকাসক্ত ব্যক্তিদের অনেকের পরিবার মনে করে নিরাময় প্রক্রিয়া শেষ হওয়া মানে সব শেষ। আসলে তা নয়। এখান থেকেই মূলত সুস্থ হওয়ার প্রক্রিয়া শুরু। নিরাময়কেন্দ্র থেকে ফিরে আসা ব্যক্তির প্রতি পরিবারের সদস্যদের সহানুভূতিশীল হতে হবে।

প্রথম আলো ট্রাস্টের মাদকবিরোধী পরামর্শ সভায় এই তথ্য জানালেন শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজের মানসিক রোগ বিভাগের প্রধান ডা. মো. জোবায়ের মিয়া। তিনি আরও বলেন সহায়তা ও ভালোবাসা দিয়ে মাদকাসক্তি থেকে কাউকে মুক্ত করা সম্ভব। জাতীয় মানসিক স্বাস্থ্য ইনস্টিটিউট বা কেন্দ্রীয় মাদকাসক্তি পুনর্বাসন কেন্দ্র অথবা সরকারি মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নাম মাত্র মূল্যে চিকিৎসা সেবা পেতে পারেন।

গত বৃহস্পতিবার বিকেল চারটা থেকে আধা ঘণ্টা প্রথম আলোর ফেসবুক পেজে মাদকবিরোধী অনলাইন পরামর্শ সহায়তা সভা অনুষ্ঠিত হয়। অনলাইনে মাদকবিরোধী পরামর্শ সহায়তা সভার এটি ছিল নবম আয়োজন।

এ নিয়ে প্রথম আলো ট্রাস্টের উদ্যোগে ১২৪টি মাদকবিরোধী পরামর্শ সভা হয়েছে। এর মধ্যে করোনার সংক্রমণের কারণে শেষ নয়টি সভা হয়েছে অনলাইনে।

চিকিৎসক মো. জোবায়ের মিয়া বলেন, মাদকাসক্তি সম্পূর্ণ নিরাময়যোগ্য । মাদকাসক্ত ব্যক্তিকে ঘৃণা না করে পাশে থাকতে হবে। পরিবারকে ধৈর্য ধরতে হবে। কারণ, আসক্ত ব্যক্তি অনাকাঙ্ক্ষিত আচরণ করতে পারে। মাদকাসক্ত ব্যক্তিরও মাদক ছাড়ার ইচ্ছা থাকতে হবে। ওষুধ গ্রহণের পাশাপাশি মাদকাসক্ত ব্যক্তির লাইফস্টাইল ও বদলাতে হবে। এই সমস্যা কাটিয়ে উঠতে নিজের ইচ্ছাশক্তি যেমন দরকার, তেমনি পরিবারেরও সহযোগিতা প্রয়োজন।

সভা সঞ্চালনা করেন প্রথম আলো ট্রাস্টের সমন্বয়ক মাহবুবা সুলতানা । সভায় অংশ নেওয়া ব্যক্তিরা মাদক ছাড়াও করোনা কালে নানা মানসিক সমস্যা নিয়েও পরামর্শ চান।