‘দুইবার ধান লাগাইলাম, বানে শ্যাষ’

প্রথম আলো ট্রাস্টের উদ্যোগে বানভাসি ১০০ পরিবারের মধ্যে ত্রাণ বিতরণ করা হয়। গত বৃহস্পতিবার দুপুরে নেত্রকোনার কলমাকান্দা সরকারি ডিগ্রি কলেজ মাঠে।ছবি: প্রথম আলো

বডু সরকারের বাড়ি নেত্রকোনার কলমাকান্দা সদরের কলেজ রোড এলাকায়। রোগে-শোকে অনেক আগেই নুয়ে পড়েছেন। লাঠি ছাড়া
চলতেই পারেন না। সেই ছোটবেলা থেকেই দারিদ্র্যের সঙ্গে লড়তে হচ্ছে তাঁকে। একদিকে চোখে ঝাপসা দেখেন, অন্যদিকে শ্বাসকষ্ট, উচ্চ রক্তচাপ, ডায়াবেটিসসহ নানা রোগ শরীরে বাসা বেঁধেছে। টাকার অভাবে দরকারি ওষুধও কেনা হচ্ছে না। নিজের জমিজমা নেই, থাকেন অন্যের বাড়িতে। মেয়েদের বিয়ে হয়েছে। একমাত্র ছেলে বিয়ে করে অন্য স্থানে চলে গেছেন। এখন কেবল বুড়া আর বুড়ি, তা–ও পেট চালাতে কষ্ট।

গত বৃহস্পতিবার দুপুরে তিনি কলমাকান্দা সরকারি ডিগ্রি কলেজ মাঠে প্রথম আলো ট্রাস্টের পক্ষ থেকে দেওয়া ত্রাণ নিতে এসেছিলেন। ওই দিন এখানে বানভাসি ১০০ পরিবারের মধ্যে ত্রাণ বিতরণ করা হয়। ত্রাণ হিসেবে দেওয়া ব্যাগে ছিল চাল, মসুর ডাল, সয়াবিন তেল, আলু, লবণ ও মুড়ি। ত্রাণ বিতরণ করেন নেত্রকোনার প্রথম আলো বন্ধুসভার সদস্যরা।

শিংপুর গ্রামের কামাল হোসেন (৫২) বৃদ্ধ মা-বাবা, স্ত্রী ও তিন সন্তান নিয়ে খুবই কষ্টে আছেন। এ বছর ৪৫ শতাংশ জমি বর্গা নিয়ে আমন ধানের চারা রোপণ করেছিলেন। সপ্তাহখানেক পর বন্যার পানিতে চারা নষ্ট হয়ে যায়। আবার তিন হাজার টাকা ঋণ করে চারা রোপণ করেন। এরপর আরও দুবার বন্যার পানিতে ধানের চারা নষ্ট হয়ে যায়। বানের পানিতে দিশেহারা কামাল হোসেন বলেন, ‘ঋণ কইরা মাইনসের জমিত পরপর দুইবার ধান লাগাইলাম, বানে শ্যাষ। ঘরে খাওন নাই, পাওনাদার তাগদা দিতাছে। কাজকামও ঠিকমতো পাই না। ঘরে সাতজন মানুষের তিনবেলা খাওন জোগানো খুবই কষ্টের।’

বন্যায় ক্ষতিগ্রস্তদের সহযোগিতায় আপনিও এগিয়ে আসতে পারেন।

হিসাবের নাম: প্রথম আলো ট্রাস্ট/ত্রাণ তহবিল

হিসাব নম্বর: ২০৭ ২০০ ১১১৯৪

ঢাকা ব্যাংক লিমিটেড, কারওয়ান বাজার শাখা, ঢাকা।