চাকরি পেলে অদম্যদের পড়াশোনায় সহযোগিতা করব

অদম্য মেধাবী মো. ফারুক হোসেন।
ছবি: প্রথম আলো।

‘ব্র্যাক ব্যাংক-প্রথম আলো ট্রাস্ট অদম্য মেধাবী’ তহবিলের সহযোগিতায় সফলতা অর্জনকারী এক অদম্য মেধাবী মো. ফারুক হোসেন। তিনি বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ইলেকট্রিক্যাল অ্যান্ড কমিউনিকেশন ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগে স্নাতক (সম্মান) শেষ করেছেন। একই বিষয়ে মাস্টার্স করেছেন, এখন রেজাল্টের অপেক্ষায় আছেন।

মো. ফারুক হোসেন। বাড়ি তাঁর রংপুর জেলার গঙ্গাচড়া থানার বড়বিল গ্রামে। চতুর্থ শ্রেণিতে পড়াকালীন সময়ে মা মারা যায় এবং নবম শ্রেণিতে পড়াকালীন সময়ে বাবা মারা যান। বাবা একসময় কৃষি কাজ করতেন। বাবা-মা দুজনই মারা যাওয়ার পরে ওই এলাকার প্রাথমিক বিদ্যালয়ের একজন শিক্ষক মোহাম্মদ মনিরুজ্জামান মুন্না, ফারুককে পালক হিসেবে গ্রহণ করেন। তিনি তাঁর নিজের ছেলে হিসেবে তাঁকে পরিচয় দেন। নতুন বাড়িতে এসে সকালে বাসার কাজ, বাজার করা, মোটরসাইকেল পরিষ্কার করার কাজ করতেন । বাসার অন্যান্য কাজ শেষ করে সকাল ১০টা থেকে ৪টা পর্যন্ত স্কুল করতেন। বিকেলে বাসায় ফিরে বাবা তাকে পড়ার জন্য প্রচণ্ড চাপ দিতেন। ২০০৯ সালে এসএসসি পরীক্ষায় জিপিএ-৫ পেয়ে উত্তীর্ণ হন। ২০১১ সালে ঢাকার নটর ডেম কলেজ থেকে এইচএসসি পরীক্ষায় জিপিএ-৫ পেয়ে উত্তীর্ণ হন। বৃত্তির জন্য আবেদন করেন প্রথম আলো ট্রাস্টে। পরে তাঁর পারিবারিক অবস্থা ও অদম্য মেধাকে বিবেচনায় নিয়ে ব্র্যাক ব্যাংক-প্রথম আলো ট্রাস্ট অদম্য মেধাবী শিক্ষাবৃত্তি প্রদান করা হয়। পরে ভালো করে পড়াশোনা করে বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির সুযোগ পান।

ফারুক হোসেন বলেন, ‘ব্র্যাক ব্যাংক-প্রথম আলো ট্রাস্টের বৃত্তির টাকায় পড়াশোনা করেছি। এখন চাকরির চেষ্টা করছি। মানুষের ভালোবাসা আমি পেয়েছি। ইচ্ছে আছে চাকরি পেলে আমার মতো অদম্য যারা আছে, তাদের পড়াশোনায় সহযোগিতা করব।