আলোর পাঠশালার কারণে বাল্য বিয়ে কমেছে

প্রথম আলো ট্রাস্টের উদ্যোগে ও সামিট গ্রুপের সহযোগিতায় নওগাঁর নিয়ামতপুর উপজেলার গুড়িহারী-কামদেবপুর আলোর পাঠশালার শিক্ষার্থীদের মাঝে ঈদ উপহারসামগ্রী বিতরণ করা হয়।
ছবি: প্রথম আলো।

গুড়িহারী-কামদেবপুর আলোর পাঠশালা প্রতিষ্ঠার পর কমে গিয়েছে বাল্য বিয়ে। এ জন্য আলোর পাঠশালা থেকে বাল্য বিয়ে রোধ ও এলাকার ছেলেমেয়েদের বিদ্যালয়মুখী করার জন্য নানারকম উদ্যোগ নেওয়া হয়। আলোর পাঠশালাতে পড়ালেখার কোন খরচ দিতে হয় না। সেই সঙ্গে বিদ্যালয় থেকেই পাওয়া যায় অনেক রকম সুযোগ-সুবিধা।

গুড়িহারী-কামদেবপুর আলোর পাঠশালা প্রধান শিক্ষক মো. নুর আলম বলেন, ‘বাল্য বিয়ে রোধে বিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে নানান উদ্যোগ নেওয়া হয়। এলাকায় কমিউনিটি মিটিং করা হয়, বিদ্যালয়ে অ্যাডলসেন্ট শিক্ষার্থীদের সঙ্গে মিটিং করা হয়। শিক্ষকেরা তৎপর হয়ে প্রতি মাসে শিক্ষার্থীদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে ফলোআপও করেন। এসব কার্যক্রমের ফলে হিন্দু, মুসলিম ও খ্রিষ্টান পরিবারের মেয়েদের বাল্য বিয়ে কমেছে।’

মো. নুর আলম আরও বলেন, ‘গুড়িহারী সাঁওতাল পাড়ার মেয়ে রেসমিনা টুডু ও শান্তিনা মুর্ম। তারা শুধু নিজেদের বাল্য বিয়ে রোধ করেনি, পাশাপাশি গুড়িহারী-কামদেবপুর আলোর পাঠশালা থেকে প্রথম এসএসসি পরীক্ষায় (২০২০) অংশগ্রহণ করে এবং ভালো ফলাফলও অর্জন করেছে। শুধু শাস্তিনা বা রেসমিনা নয় আলোর পাঠশালা শিক্ষার্থী আসমাউল, সুমিতা, প্রভাতি, বেহেসনুরসহ অনেকেই নিজেদের বিয়ে রোধ করেছে।’

শান্তিনা মুর্মর বাবা জার্মান মুর্ম বলেন, ‘আমার মেয়ে লেখাপড়া করছে। বাল্য বিয়ে কোন সমাধান নয়। আমাদের (পরিবারকে) বুঝাতে সক্ষম হয়েছে।’

বাংলাদেশের প্রত্যন্ত এলাকায় যেখানে বহুদিন শিক্ষার আলো পৌঁছায়নি এ রকম অবহেলিত কয়েকটি এলাকায় শিক্ষার আলো পৌঁছে দিচ্ছে প্রথম আলো ট্রাস্ট। সামিট গ্রুপের আর্থিক সহায়তায় প্রথম আলো ট্রাস্ট নওগায় গুড়িহারী-কামদেবপুর আলোর পাঠশালাসহ ৬ টি স্কুল পরিচালনা করছে।