শিশুদের মানসিক বিকাশের জন্য আছে নানা আয়োজন

বই পড়া ও গল্প বলার ক্লাস।

নরসিংদী জেলার রায়পুরা উপজেলার দড়ি হাইরমারা গ্রামের সাদত স্মৃতি পল্লীতে শিশুদের মানসিক বিকাশের জন্য ধর্মীয় শিক্ষা, বাংলার সংস্কৃতি, সাংস্কৃতিক ও প্রযুক্তি বিষয়ক শিক্ষা প্রদান করা হয়। শিশু বিকাশের শিক্ষার্থী ৫২ জনের মধ্যে ৭ জন ছেলে ও বাকি ৪৫ জন মেয়ে শিক্ষার্থী। সপ্তাহে দুই দিন বৃহস্পতি ও শুক্রবার শিশু বিকাশের কার্যক্রম পরিচালিত হয়। বৃহস্পতিবার বিকেল সাড়ে ৩টা থেকে কবিতা আবৃত্তি, গল্প বলা ও সংগীতের ক্লাস হয়। শুক্রবার সকাল সাড়ে ৮টা থেকে নৃত্য শিক্ষা, ছবি আঁকা ও সংগীতের ক্লাস হয়। বিকেল ৩টা থেকে কম্পিউটার প্রশিক্ষণ ও নাটকের ক্লাস হয়।

প্রতি ৪ মাস পরপর শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণে ক্লাস ক্যাপটেন নির্বাচন করানো হয়, যেন শিশুরা সৌহার্দ্যপূর্ণ দায়িত্ব বোধের শিক্ষা পায়। বছরের জাতীয় দিবসগুলোতে শিশুদের মাঝে জাতীয় দিবসের তাৎপর্য ও মূল্যবোধ তৈরির জন্য তাদের অংশগ্রহণে প্রতিযোগিতামূলক খেলাধুলা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। অনুষ্ঠানে স্থানীয় জনপ্রতিনিধি, বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষকগণ, শিশুদের অভিভাবকসহ স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিগণ উপস্থিত থাকেন। গণ্যমান্য ব্যক্তিগণ অনুষ্ঠানের মঞ্চে প্রকল্পের কার্যক্রম ও জাতীয় দিবস সংক্রান্ত বিষয়ে আলোচনা করেন। বিজয়ী শিশুদের মাঝে পুরস্কার প্রদান ও অংশগ্রহণকারী সকল শিশুকে সান্ত্বনা পুরস্কার দেওয়া হয়।

সংগীতের ক্লাস।

নরসিংদী সাদত স্মৃতি পল্লী প্রকল্প কর্মকর্তা বেলায়েত হোসেন জানালেন, শিক্ষক একটি গল্প পড়ে শোনান । পরে গল্পের কাহিনি থেকে শিশুদের বিভিন্ন প্রশ্ন করেন৷ শিশুরা নিজের মতো করে পুরো গল্পটাই বলে । এক ঘণ্টার এই ক্লাসে শিক্ষক ওই গল্পের বিষয় ও শিক্ষণীয় বিষয়ে শিক্ষার্থীদের বুঝিয়ে দেন৷ গল্পের ক্লাসে শিশুরা অনেক আনন্দ পায়৷ একই ক্লাসেই শিশুদের কবিতা আবৃত্তির শেখানো হয়৷ শিশুদের ইচ্ছে মতো যে কোনো কবিতা আবৃত্তি করতে দেওয়া হয়৷ অথবা তাদের স্কুলের পাঠ্য বইয়ের কবিতা থেকে আবৃত্তি করতে দেওয়া হয়৷ শিশুরা কবিতা আবৃত্তির সময় উচ্চারণে যেসব ভুল করে থাকে সেগুলোর সঠিক উচ্চারণ শিখিয়ে দেওয়া হয়।

সাদত স্মৃতি পল্লী প্রকল্পটি এনভয় গ্রুপের চেয়ারম্যান কুতুব উদ্দিন আহমেদের ব্যক্তিগত আর্থিক সহযোগিতায় পরিচালনা করে প্রথম আলো ট্রাস্ট৷