সুফিয়া বেগমের (৩৫) বাড়ি হাইরমারা গ্রামে। তাঁর পেটে সমস্যা, পস্রাবে জ্বালা পোড়া। তিনি প্রকল্পের এক স্টাফের স্ত্রীর কাছ থেকে জেনেছেন সাদত স্মৃতি পল্লীতে ভালো ডাক্তার আসেন। বিনা মূল্যে চিকিৎসা সেবা ও ওষুধ পাওয়া যায়। তাই সকাল ৬ টায় সাদত স্মৃতি পল্লীতে চলে আসেন। সুফিয়া বেগম বলেন,‘ পাঁচ ট্যাহায় বড় ডাক্তার দেহাইতারি, আমরা গরিব মাইনষের লাইগ্গা ভালা অইছে।’
বীরকান্দি গ্রামের ৫৫ বছর বয়সি আনোয়ারা বেগম দীর্ঘদিন যাবৎ উচ্চ রক্তচাপে ভুগছেন। পাশাপাশি পায়ের পাতা জ্বালাপোড়া করে তাঁর। তিনি বলেন, ‘ওষুধ কিন্না খাইতে খাইতে কুলাইতারি না। কত কিনতাম? এহন আমনেরার এনো আইছি, ডাক্তার দেহামু আর ওষুধও পামু।’
গত ১৩ নভেম্বর রবিবার স্বাস্থ্যসেবায় নিযুক্ত ছিলেন প্রকল্পের নিয়মিত চিকিৎসক ডা. জান্নাতুল ফেরদৌস ঐশী । ওইদিন তিনি ২৯ জন রোগীকে স্বাস্থ্যসেবা প্রদান করেছেন। এই ২৯জনকে ব্যবস্থাপত্র অনুযায়ী বিনা মূল্যে ওষুধ বিতরণ করা হয়।
শেলটেক গ্রুপের চেয়ারম্যান কুতুব উদ্দিন আহমেদের ব্যক্তিগত সহযোগিতায় প্রকল্পটি পরিচালনা করে প্রথম আলো ট্রাস্ট।