ত্রাণ পেলেন নদীভাঙনে দিশাহারা মানুষ

বন্যা ও নদীভাঙনের মুখে পড়েছে কুড়িগ্রামের নাগেশ্বরী উপজেলার নুন খাওয়া ইউনিয়নের পুরাতন ব্যাপারীর চর। চরের নদীভাঙনকবলিত ১২০টি পরিবারকে প্রথম আলো ট্রাস্টের পক্ষ থেকে ত্রাণসহায়তা দেওয়া হয়ছবি: সফি খান

নুর ইসলামের ঘরবাড়ি থেকে বন্যার পানি নেমে গেছে, কিন্তু সেই ঘরে আর তিনি থাকতে পারেননি। শুক্রবার তাঁর বসতভিটা নদীভাঙনের কবলে পড়েছে। নুর ইসলাম কোনোমতে তাঁর দুটি ঘর রক্ষা করতে পেরেছেন। কিন্তু সেগুলো নিয়ে আশ্রয় নিয়েছেন আরেকটি চরে।

নুর ইসলামের বাড়ি কুড়িগ্রামের নাগেশ্বরী উপজেলার নুন খাওয়া ইউনিয়নের পুরাতন ব্যাপারীর চরে। এই চরে আড়াই শতাধিক পরিবারের বাস। এবারের বন্যার পর শুরু হয়েছে নদীভাঙন। নদীভাঙনকবলিত ১২০টি পরিবারের মধ্যে গতকাল রোববার প্রথম আলো ট্রাস্ট থেকে পাঁচ কেজি চাল, এক কেজি ডাল, দুই কেজি আলু, এক লিটার তেলসহ পেঁয়াজ ও রসুন দেওয়া হয়।

ব্যাপারীর চর যাওয়ার আগে প্রথমে চর রসুলপুরে ভাঙনকবলিত ৩০টি পরিবারের মধ্যে একইভাবে ত্রাণ দেওয়া হয়।

এ ছাড়া চর নুন খাওয়ায় ৫০টি বন্যাকবলিত পরিবারের মধ্যে ত্রাণ বিতরণ করা হয়। প্রাণ বিতরণ কার্যক্রমের সহায়তা করে কুড়িগ্রাম বন্ধুসভা।