বাবা বললেন পড়াশোনা করে কী হবে? আমাকে বাদাম কিনে দিলেন। সারাদিন বাদাম বিক্রি করতাম। যা টাকা পেতাম, তাই বাবার হাতে দিতাম। তারপর ভাবলাম একদিন আগেও স্কুলের ছাত্র ছিলাম আজ বাদাম বিক্রি করছি। স্কুলের এক স্যার সহায়তা করলেন। আবার স্কুলে ক্লাস থ্রিতে ভর্তি হলাম। রোল নাম্বার ছিল ৬০। পরীক্ষা দিলাম রোল হলো ৪। এ কথাগুলো অদম্য মেধাবী মো. শহীদুল্লাহ হাবীবের।
মো. শহীদুল্লাহ হাবীব তাঁর জীবনের গল্প বলতে গিয়ে আরও বলেন, ’বাবা চাতালে সারারাত (ধান ভাঙানো, চাল তৈরির) কাজ করতেন। বাবার সাথে চাতালে কাজ করতাম। আমার সহপাঠী বা বন্ধু কেউ বুঝতেই পারতনা যে আমি সারারাত চাতালে কাজ করতাম। রাস্তার বারান্দায় কাঁথা-বালিশ নিয়ে ঘুমাতাম। রাস্তার লাইটের আলোতে পড়াশোনা করতাম। ভোরবেলা রাস্তা থেকে চলে আসতাম।’ হার না মানা সেই শহীদুল্লাহ হাবীব এখন ওয়াল্টন হাইটেক ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড সাপ্লাই চেইন ম্যানেজমেন্ট ইনভেন্টরি বিভাগে অফিসার-১ হিসেবে কর্মরত।
শহীদুল্লাহ হাবীব ব্র্যাক ব্যাংক-প্রথম আলো ট্রাস্ট অদম্য মেধাবী তহবিল থেকে শিক্ষাবৃত্তি নিয়ে পড়াশোনা করেছেন।
সকল অদম্য মেধাবীদের প্রতি পরামর্শ দিলেন, ’কখনোই মনোবল হারাবেন না । সাহস হারাবেন না। অর্থের জন্য কিছু থেমে থাকে না। একটাই পরামর্শ পড়াশোনা, পড়াশোনা আর পড়াশোনা।’