আজ আমি স্বাবলম্বী নারী

চট্টগ্রামের মেয়ে এ্যাস্টেন ফার্নেন্দেজ । তিনি তাঁর পরিবারে প্রথম নারী, যিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের গণ্ডি পেরোতে পেরেছেন। এই পেরোনোর পেছনে আছে নানা প্রতিবন্ধকতা। মনে সাহস নিয়ে সেই প্রতিবন্ধকতা অতিক্রম করেছেন। এশিয়ান ইউনিভার্সিটি ফর উইমেন (এইউডব্লিউ) থেকে স্নাতক (সম্মান) শেষ করে বর্তমানে কাজ করছেন রেডিসন ব্লু চট্টগ্রাম বে ভিউ এইচ আর ইনচার্জ হিসেবে।

এ্যাস্টেন ফার্নেন্দেজ বলেন, ‘এশিয়ান ইউনিভার্সিটি ফর উইমেনের মতো একটা আন্তর্জাতিক মানের বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার পেছনে প্রথম আলো গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে। কারণ, এইউডব্লিউতে বৃত্তির বিষয়ে প্রথম আলো থেকেই জানতে পারি এবং প্রথম আলোতে বৃত্তির জন্য আবেদন করি। পরে বৃত্তি পেয়েও যাই। এই বৃত্তি আমার পড়াশোনাকে অনেক সহজ করে দেয়। এ জন্য প্রথম আলোর কাছে কৃতজ্ঞ। বিদেশি শিক্ষার্থীদের সঙ্গে বহুজাতিক সংস্কৃতির আদান-প্রদানের মাধ্যমে বহু কিছু শিখেছি, যা প্রতিনিয়ত কাজে লাগছে।’

সেই লক্ষ্যেই তিনি এইউডব্লিউতে পলিটিক্স,ফিলোসফি ইকোনোমিক্সে স্নাতক শেষ করেন । তিনি আরো বলেন ‘আজ আমি স্বাবলম্বী নারী। এর পেছনে মা-বাবার সাপোর্ট যেমন ছিল তেমনি এইউডব্লিউ ও প্রথম আলো স্বপ্নপূরণে পথ দেখিয়েছে।’

২০১২ সাল থেকে এশিয়ান ইউনিভার্সিটি ফর উইমেন এবং প্রথম আলো ‘ফার্স্ট ফিমেল ইন দ্য ফ্যামিলি স্কলারশিপ অ্যাওয়ার্ড’ নামে শিক্ষাবৃত্তি প্রদান শুরু করে। প্রতিবছর পরিবারের প্রথম নারী অথচ দরিদ্র, যিনি উচ্চতর শিক্ষায় শিক্ষিত হয়ে সমাজ গঠনে আগ্রহী, এ রকম ১০ জনকে ট্রান্সকম গ্রুপের সহায়তায় এশিয়ান ইউনিভার্সিটি ফর উইমেন এ শিক্ষাবৃত্তি দেওয়া শুরু করে। ট্রান্সকমের সহায়তায় ২০১৬ সাল পর্যন্ত ৪২ জন শিক্ষার্থী এই বৃত্তি পেয়েছেন। ২০১৭ সাল থেকে আইডিএলসি ফাইন্যান্স লিমিটেড এই শিক্ষাবৃত্তির দায়িত্ব নেয়। নামকরণ করা হয়েছে ‘অদ্বিতীয়া’। আইডিএলসি ফাইন্যান্স লিমিটেডের সহায়তায় ৩৬ জনসহ এ পর্যন্ত মোট ৭৮ জন শিক্ষার্থী এই বৃত্তি পেয়েছেন। এশিয়ান ইউনিভার্সিটি ফর উইমেনও তাঁদের আবাসন, টিউশন ফি সুবিধাসহ নানা সুযোগ দেয়।