স্মার্ট তরুণেরা কখনো মাদক নেয় না

কৌতূহলের বশে মাদকের স্বাদ নিতে গিয়েই কিন্তু একসময় মাদক নির্ভরশীল হয়ে পড়ে। মাদক কোনো সমস্যার সমাধান নয়, বরং সমস্যার সূত্রপাত। এ বিষয়ে জাতীয় মানসিক স্বাস্থ্য ইনস্টিটিউটের সহযোগী অধ্যাপক ডা. আহমেদ হেলাল বলেন, কখনো কখনো বন্ধুরা এইভাবে বলে, ‘আরে দোস্ত, একবার টান দাও’, ‘মামা, বুঝলা না কী জিনিস, একবার খাইয়া দেখো’, ‘দেখিই না খেয়ে, কেমন লাগে’। বন্ধুদের চাপে আবার কখনো কৌতূহলের বশে মাদকের স্বাদ নিতে গিয়েই কিন্তু একসময় মাদক নির্ভরশীল হয়ে পড়ে।

মাদক নির্ভরশীলতা একটি রোগ। উপযুক্ত চিকিৎসা না পেলে এই রোগে মানুষের ব্যক্তিত্ব, পেশাজীবন সব ধ্বংস হয়ে যেতে পারে, ঘটতে পারে আত্মহত্যার মতো ভয়ংকর ঘটনা। তাই ‘না’ বলতে পারার শক্তি অর্জন করতে হবে। বন্ধুরা যতই চাপাচাপি করুক, বলতে হবে ‘না, আমি মাদক নেব না’।

কৌতূহলের বশেও কখনো মাদক নেওয়া যাবে না। স্মার্ট তরুণেরা কখনো মাদক নেয় না। মনে রাখতে হবে, মাদক কোনো সমস্যার সমাধান নয়, বরং সমস্যার সূত্রপাত। তাই যেকোনোভাবেই হোক, সব সময় মাদক থেকে দূরে থাকতে হবে। ভুলেও মাদক গ্রহণ নয়।

সামনে মাদক থাকলেও গ্রহণ করবে না। এ রকম কোনো শর্টকাট উপায় আছে কিনা। এর জবাবে ডা. আহমেদ হেলাল বলেন, ব্যক্তিত্বের বিকাশ যদি দুর্বল থাকে, পছন্দ-অপছন্দকে শিশুকাল থেকে প্রকাশ করতে না পারলে, শৈশবে ছোট ছোট বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষমতা থাকতে হবে। তাহলে বড় হয়ে সঠিক সিদ্ধান্ত নিতে পারবে। ধরা যাক একটি শিশু ফার্মের মুরগির ডিমের অমলেট খাবে, নাকি দেশি মুরগির ডিমের অমলেট খাবে এই সিদ্ধান্ত তাকে নিতে হবে। মস্তিষ্কের যে সার্কিটটি কাজ করে বড় হয়ে ওই ব্যক্তি যুদ্ধক্ষেত্রে গিয়ে, যুদ্ধ করবে, না কি আত্মসমর্পণ করবে, ওখানেও মস্তিষ্কের ওই সার্কিটটি একই কাজ করে। মস্তিষ্কের সার্কিট যদি সচল না থাকে তাহলে বন্ধুরা বলবে চলো মাদক খাই। মাদক গ্রহণকে না বলার মতো সক্ষমতা থাকতে হবে। পছন্দ-অপছন্দ করার সক্ষমতা থাকা চাই। ছোট ছোট সিদ্ধান্ত নেওয়ার অনুশীলন করতে হবে।