সাইকেল পেয়ে আমি এখন ঠিক সময়ে স্কুলে আসতে পারি

গুড়িহারী-কামদেবপুর আলোর পাঠশালার নবম শ্রেণির শিক্ষার্থী আব্দুল আলিম।

গুড়িহারী-কামদেবপুর আলোর পাঠশালার নবম শ্রেণির শিক্ষার্থী আব্দুল আলিম। স্কুল থেকে আলিমের বাড়ির দূরত্ব প্রায় সাড়ে ৫ কিলোমিটার। বাড়ি থেকে স্কুল পর্যন্ত পুরোটাই মাটির রাস্তা। আলিম বলেন, 'বর্ষাকালে প্রতিদিন পায়ে হেঁটে স্কুলে যেতে হয়। স্কুলে যেতে খুব কষ্ট হতো। মাঝে মাঝেই স্কুলে যেতে দেরি হয়ে যেত। হেঁটে এসে অনেক ক্লান্ত হয়ে যেতাম। পড়ায় মন বসত না, খুব খারাপ লাগত। আমাকে সাইকেল কিনে দেওয়ার মত সামর্থ্য আমার বাবার নেই। এক সময় মনে হচ্ছিল আমার আর পড়ালেখা করা হবে না। তারপর একদিন স্কুল থেকে আমাকে একটা সাইকেল দেওয়া হয়। সাইকেল পেয়ে আমি ঠিক সময়ে স্কুলে আসতে পারি। সাইকেল পেয়ে আমার খুব উপকার হয়েছে। পড়াশোনা করে বড় হয়ে ভালো মানুষ হতে চাই।’এভাবেই মনের আবেগ ব্যক্ত করলেন আব্দুল আলিম।

গুড়িহারী-কামদেবপুর আলোর পাঠশালার প্রধান শিক্ষক নুর আলম বলেন, আব্দুল আলিম ক্লাসে মনোযোগী। ভালো ছাত্র। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ঢাকার কিছু ব্যক্তি শিক্ষার্থীদের যাতায়াতের সুবিধার্থে বিদ্যালয়ে ২৮টি সাইকেল প্রদান করেন। এই সাইকেলগুলো বিভিন্ন ক্যাটাগরিতে শিক্ষার্থীদের প্রদান করা হয়।

আলিমের বাবা মো. রফিকুল ইসলাম বলেন, ‘স্কুলত থ্যাকে সাইকেল পাওয়া যাবে হামি ভাবিনি। সাইকেল কিনে দেওয়ারও সামর্থ্য হামার নাই। হামার বেটা স্কুলত যাইতে পারে, খুশি হছি।

বাংলাদেশের প্রত্যন্ত এলাকায় যেখানে শিক্ষার আলো পৌঁছায়নি এ রকম অবহেলিত কয়েকটি এলাকায় শিক্ষার আলো পৌঁছে দিচ্ছে প্রথম আলো ট্রাস্ট। সামিট গ্রুপের আর্থিক সহায়তায় প্রথম আলো গুড়িহারী কামদেবপুর আলোর পাঠশালাসহ ৬টি স্কুল পরিচালনা করছে।