শিমন্ত কোল টুডু ডাক্তার হতে চান

বাবুডাইং আলোর পাঠশালা বিদ্যালয়ের সপ্তম শ্রেণির শিক্ষার্থী শিমন্ত কোল টুডু।

শিমন্ত কোল টুডু বাবুডাইং আলোর পাঠশালা বিদ্যালয়ের সপ্তম শ্রেণির শিক্ষার্থী। তিনি শ্রেণির মধ্যে প্রথম স্থান অর্জন করে আসছেন। তিনি ভবিষ্যতে ডাক্তার হতে চান। ডাক্তার হয়ে গরিব অসহায় মানুষের সেবা করতে চান। তাদের পরিবারে ৫ জন সদস্য রয়েছে। বাবা একমাত্র অর্থ উপার্জনকারী ব্যক্তি। পড়াশোনার পাশাপাশি তিনি তার বাবাকে পরিবারের নানা কাজে সহযোগিতা করে থাকেন। গরু ও ছাগলের জন্য ঘাস কাটা এবং মাঠে চরানোর কাজ করেন।

শিমন্তের বাবা বিশ্বনাথ কোল টুডু কৃষি কাজের পাশাপাশি স্বল্প পরিসরে বর্গা জমি চাষাবাদ করেন। বিশ্বনাথ কোল টুডু বলেন, ‘হামার ছ্যালা কোনো পরীক্ষায় ফেল করেনি। এ জন্য হামার খুবই খুশি লাগছে। হামারঘে বাবা-মা হামারঘেকে পড়ালেখা করাতে পারেনি। কারণ সে সময় বাবুডাইং এলাকায় কোন স্কুল ছিল না। কিন্তু হামার ছ্যালাকে হামি উচু শিখিত করবই। এখন বাবুডাইং গ্রামে প্রথম আলো ট্রাস্ট পরিচালিত বাবুডাইং আলোর পাঠশালা আছে। এখানে পড়াশোনার জন্য কোনো বেতন দিতে হয় না। এ ছাড়া করোনার সময় খাদ্য ত্রাণসামগ্রী, শীতের সময় কম্বল ও গরমের সময় মশার কামড় হতে রক্ষা পাওয়ার জন্য মশারি পেয়েছি।’

বাবুডাইং আলোর পাঠশালার সহকারী প্রধান শিক্ষক লুইশ মুর্মু বলেন, ‘শিমন্ত স্কুলের প্রতিটি অনুষ্ঠানে স্বতঃস্ফূর্তভাবে অংশগ্রহণ করে। ভালো কাজ করতে কখনো দ্বিধাবোধ করে না। তার প্রিয় খেলা হচ্ছে ফুটবল এবং সে ফুটবল ভালো খেলতে পারে। তার ইচ্ছা ভবিষ্যতে স্কুলে ভালো ফুটবল দল গঠন করবে।’

বাংলাদেশের প্রত্যন্ত এলাকায় যেখানে বহুদিন শিক্ষার আলো পৌঁছায়নি এ রকম অবহেলিত কয়েকটি এলাকায় শিক্ষার আলো পৌঁছে দিচ্ছে প্রথম আলো ট্রাস্ট। সামিট গ্রুপের আর্থিক সহায়তায় প্রথম আলো বাবুডাইং আলোর পাঠশালাসহ ৬টি স্কুল পরিচালনা করছে।