শিক্ষার্থীদের বাড়ি গিয়ে পড়াশোনার খোঁজ নেন শিক্ষকেরা

চর খিদিরপুর গ্রামে শিক্ষার্থীদের বাড়ি গিয়ে পড়াশোনার খোঁজ নেন শিক্ষকেরা।

রাজশাহী মহানগরীর তালাইমারী শহীদ মিনার এলাকায় রাজশাহী আলোর পাঠশালার বর্তমান অবস্থান। এক বছর আগেও স্কুলটির অবস্থান ছিল পদ্মা নদীর ওপারে। চর খিদিরপুর গ্রামে । চরটিতে বেশির ভাগ পদ্মা নদীতে বিলীন হয়ে যাচ্ছে। বেশির ভাগ পরিবার চর থেকে স্থানান্তর হলে ও কিছু পরিবার চর খিদিরপুরে রয়ে গিয়েছেন। ওই চরে বসত করছেন ১৫ জন শিক্ষার্থী। করোনা পরিস্থিতির কারণে স্কুল বন্ধ। তাই গত ১৬ ফেব্রুয়ারি রাজশাহী আলোর পাঠশালার ৪ জন শিক্ষক নদী পাড় হয়ে চরে যান। শিক্ষার্থীদের বাড়ি বাড়ি যান এবং পড়াশোনার খোঁজ খবর নেন।

চর খিদিরপুর গ্রামে শিক্ষার্থীদের বাড়ি গিয়ে পড়াশোনার খোঁজ নেন শিক্ষকেরা।

রাজশাহী আলোর পাঠশালা সহকারী প্রধান শিক্ষক রিপন আলী বলেন, চরখিদিরপুরে সপ্তম ও অষ্টম শ্রেণির ১৫ জন শিক্ষার্থী আছে। তাদের পড়াশোনার খবর নিতে আমরা ৪ জন শিক্ষক গিয়েছিলাম। চরে বালির মধ্যে অনেক হাটতে হয় । তাদের সংক্ষিপ্ত পাঠ বুঝিয়ে দিয়ে এসেছি।

বাংলাদেশের প্রত্যন্ত এলাকায় যেখানে বহুদিন শিক্ষার আলো পৌঁছায়নি এ রকম অবহেলিত কয়েকটি এলাকায় শিক্ষার আলো পৌঁছে দিচ্ছে প্রথম আলো ট্রাস্ট। সামিট গ্রুপের আর্থিক সহায়তায় প্রথম আলো ট্রাস্ট রাজশাহী আলোর পাঠশালাসহ ৬টি স্কুল পরিচালনা করছে।