‘লেখাপড়ার পাশাপাশি সেলাই প্রশিক্ষণ নিয়েছি’

সুমিতা রানী লেখাপড়ার পাশাপাশি সেলাই প্রশিক্ষণ নিয়ে সংসারের জন্য আয় করছে।

বিহারু দাস একজন দিনমজুর। তিনি কখনো ভ্যান গাড়ি চালিয়ে, আবার কখনো অন্যের জমিতে দিনমজুরের কাজ করে নিজের সংসার চালান। তিনি নিজে লেখাপড়া না জানলেও একমাত্র মেয়ে সুমিতা রানীকে লেখাপড়া শিখিয়ে চাকরি করানোর প্রবল ইচ্ছা তাঁর। সুমিতা রানী গুড়িহারী -কামদেবপুর আলোর পাঠশালার দশম শ্রেণির ছাত্রী। বাবার স্বপ্নকে পূরণ করতে চান ‍সুমিতা। লেখাপড়া শিখে একটা চাকরি করবেন, যাতে করে বাবাকে একটু সাহায্য করা যায়। অভাবের সংসারে বাবা মার মুখে একটু হাসি ফোটানো যায়।

পরিবারকে সাহায্য করার জন্য তিনি তাঁর বাবার সঙ্গে অন্যের জমিতে দিনমজুরের কাজ করেন। সুমিতা বলেন, ‘পরের জমিতে কাজ করে আর কতদিন সংসার চালাব! আমাকে নিজে কিছু করতে হবে। তাই বাবার সঙ্গে পরামর্শ করে সিদ্ধান্ত নেই যে, আমি সেলাই মেশিনের কাজ শিখব। যা দিয়ে আমি সংসারের পাশাপাশি নিজের লেখাপড়ার খরচও চালিয়ে নিতে পারব। তাই আমি সেলাই প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে গিয়ে সেলাই প্রশিক্ষণ শিখি। এখন আমি সেলাই মেশিনের কাজ করতে পারি। নিজের পরিবারের কাপড় সেলাইয়ের পাশাপাশি অর্ডার নিয়ে কাপড় সেলাই করি। এতে করে যে আয় হয় সেটা আমি আমার বাবাকে দিয়ে সংসারেও কিছুটা সাহায্য করতে পারছি। তার সঙ্গে আমার লেখাপড়ার খরচও চালাচ্ছি।’

বাংলাদেশের প্রত্যন্ত এলাকায় যেখানে বহুদিন শিক্ষার আলো পৌঁছায়নি এ রকম অবহেলিত কয়েকটি এলাকায় শিক্ষার আলো পৌঁছে দিচ্ছে প্রথম আলো ট্রাস্ট। সামিট গ্রুপের আর্থিক সহায়তায় প্রথম আলো ট্রাস্ট গুড়িহারী-কামদেবপুর আলোর পাঠশালাসহ ৬টি স্কুল পরিচালনা করছে।