বড় হয়ে চিকিৎসক হতে চায় থ্যালাসেমিয়ায় আক্রান্ত মুরসালিন

প্রথম আলো ট্রাস্ট পরিচালিত নওগাঁ জেলার গুড়িহারী-কামদেবপুর আলোর পাঠশালার অষ্টম শ্রেণির শিক্ষার্থী মো. মুরসালিন। গুড়িহারী শালবাড়ি গ্রামের আজিজুল হকের সন্তান মুরসালিন জন্মের পর থেকে থ্যালাসেমিয়ায় আক্রান্ত।তার বাবা পেশায় পল্লি চিকিৎসক এবং মা গৃহিণী। মুরসালিন তার বাবা-মার তৃতীয় সন্তান । তার জন্মের ৮-১০ বছর আগে মুরসালিনের বড় দুই ভাই-বোন পর্যায়ক্রমে এই থ্যালাসেমিয়া রোগের কারণেই মারা যায়।

মুরসালিনের জন্ম ২০১০ সালের ১ লা মে। জন্মের পর থেকেই সে এই রোগে ভুগছে। বর্তমানে মুরসালিনের চিকিৎসা চলছে ভারতের ভেলোর সিএমসি হাসপাতালে। জন্মের পর থেকে মুরসালিনকে প্রত্যেক মাসে রক্ত দিতে হলেও এখন দুই মাস পরপর রক্ত দিতে হয়। রক্ত দিতে একটু দেরি হলেই তার সমস্ত শরীর হলুদ বর্ণ ধারণ করে। এ পর্যন্ত চিকিৎসার জন্য তাকে চার বার ভারতে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। মুরসালিন এত অসুস্থ হওয়ার পরও লেখাপড়ায় খুব মনোযোগী। সে গুড়িহারী শালবাড়ি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় থেকে ২০১৯ সালে পিএসসি পরীক্ষায় ৪.৮৩ ফলাফল পেয়ে কৃতিত্বের সঙ্গে উত্তীর্ণ হয়। মুরসালিনের ইচ্ছা সে বড় হয়ে ডাক্তার হবে।

মুরসালিনের মা শামিমা আক্তার বলেন, ‘লেখাপড়ার প্রতি মুরসালিনের খুব আগ্রহ। এমনিতে শারীরিক অসুস্থতার কারণে সে কোন কাজ করতে বা খেলাধুলা করতে পারে না। তাই স্কুল ছুটির পর বাড়ি এসেই আবার পড়তে বসে। বিকেল বেলায় মাঝে মাঝে অন্যান্য ছেলেদের সঙ্গে একটু ঘোরাফেরা করে। এতটা চাপ নিতে নিষেধ করলেও শোনে না । আগে দুই সন্তানকে হারিয়েছি, একে আর হারাতে চাইনা।’